কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মহিপুরে এক গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় দুই নারীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আল আমিনের পূর্ব ডালবুগঞ্জ গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিলো। ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থাকার সুযোগে আল আমিন প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত সোমবার রাতে আল আমিন ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রতিবেশী রেজবানু তাকে দেখতে পান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আল আমিন তার সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রেজবানু ও তার মা গোলবানুর ওপর হামলা চালায়। এতে গোলবানুর পায়ে জখম হয়। আহত অবস্থায় তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আহত রেজবানু বলেন, ‘আমি রাতের দিকে বাড়ির পাশে ছিলাম। হঠাৎ দেখি আল আমিন ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছে। তখন জানতে চেয়েছিলাম, এত রাতে কেন এসেছে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের হাত ও পায়ে আঘাত লেগেছে। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আল আমিনের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি কোনো গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত নই এবং কাউকে মারধরও করিনি।
এ বিষয়ে মহিপুর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। আমরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকের মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’মহিপুর থানার অফিসার তদন্ত (ওসি ) অনিমেষ হালদার বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।