বাতিঘর এর সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্টু ভদ্র বলেন, সবুজ গ্রাম এখন আর সবুজ নেই। গাছ কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে দালান কোঠা, বাড়িঘর, শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে জীবজন্তু ও পশু পাখিরা হারাচ্ছে আশ্রয়স্থল। বেশিরভাগ মানুষ পারিবারিক দৈনন্দিক চাহিদা মিটাতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। গ্রাম ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়া, নৈতিক শিক্ষা ফিরিয়ে আনা, সবুজ গ্রাম, সবুজ দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, চাকুরীজীবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক মনা কয়েকজন শিক্ষিত মানুষ একত্রিত হয়ে চলতি বছর জানুয়ারীতে “বাতিঘর” নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা সবুজায়ন কর্মসূচি ২০২৫ এর প্রথম পর্যায়ে আড়াই হাজার তালের বীজ রোপণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কৃঞ্চচুড়া, রাধাচূড়া, সোনালু সহ বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছের তিনশত চারা রোপণের উদ্যেগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আলীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও আমখোলা পাড়া এলাকায় বৃক্ষ রোপণের কাজ চলছে।
পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ইতোমধ্যে সংগঠনটি নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। স্কুল কলেজ ভিত্তিক সচেতনতা তৈরি, ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাতিঘর কাজ করে যাচ্ছে। “সবজ গ্রাম, সবুজ দেশ, এই আমাদের বাংলাদেশ” এ স্লোগানকে সামনে রেখে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ”বাতিঘর” এরই মধ্যে পর্যটন এলাকার খননকৃত খালের পাড়ে, বেরীবাধঁ ও সড়কের পাশে সবুজায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করছে। মহিপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। চারা রোপণ থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত পরিচর্যা সংগঠনের সদস্যরাই করবেন। সেচ্ছাসেবী সংগঠন “বাতিঘর” এর সভাপতি ইলিয়াস রেজা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সংগঠনের সদস্যরা সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। আমরণ চালিয়ে যাবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের ধারাবাহিক সামাজিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সবুজায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ হাতে নিয়েছি। যা চলমান থাকবে।