পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:- বিয়েতে বরপক্ষ কনেপক্ষ থেকে যে অর্থ, স্বর্ণালংকার ও জিনিসপত্র আদায় করে, সেটা যৌতুক। যৌতুক দাবি করা নিতান্ত অভদ্রতা, অসভ্যতা ও অমানবিক কাজ। যৌতুক দাবি করার কারণে কন্যাদায়গ্রস্ত বহু পিতা ও পরিবার অসহায়ত্বের শিকার হন ফলে গরিব ও দরিদ্র লোকদের বিবাহযোগ্য কন্যাদের বিয়ে বিলম্বিত হয়। বহু নিরীহ স্ত্রী যৌতুক দিতে না পেরে জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয় এটি ইসলামের ধর্মে সম্পুর্ন হারাম। মানবতার চেতনায় উজ্জীবিত ব্যক্তিত্ব তৈরি করাই মাইজভান্ডারী তরিকার লক্ষ্য বাণীঃ রাহবারে আলম সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী মাওলা হুজুর। মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মাইজভান্ডারী গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, প্রতিনিয়ত অবাক করার মতো কাজ করে যাচ্ছে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গাউছিয়া হক মনজিলের ত্বরিকত ভিত্তিক সংগঠন মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি।
এবার কর্ণফুলী উপজেলা চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ড পরীর বাপের বাড়িতে মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ দুবাই আল নাখিল শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চরলক্ষ্যা ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার উপদেষ্টা প্রবাসী নুরুল ইসলাম এর পুত্র শহিদুল ইসলাম আরফাত এর যৌতুক বিহীন বিয়ে গতকাল ১০ এপ্রিল সম্পুর্ন হওয়ায় এলাকায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বরপক্ষ ১১ এপ্রিল দুই হাজার মানুষের উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করে মানবিক কাজ করেন।
মোঃ শহিদুল ইসলাম আরাফাত এর শুভ পরিনয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী, পটিয়ার সমন্বয়কারী জাফরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন (আঙ্গুর) পটিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী সহ মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পর্ষদ ও পটিয়া- বোয়ালখালীর সাংগঠনিক সমন্বয়কারী এবং চরলক্ষ্যা ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।