“হত্যাকান্ডের শুধু বিচার নয়, বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চাই” বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে আছিয়ার পরিবারের সাথে দেখা করতে এসে সোনাকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে আছিয়ার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে হেলিকপ্টার যোগে সকাল ৯.৪২ মিনিটে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটি অবতরণ করলে সেখানে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তাকে রিসিভ করেন। এ সময় তাকে দেখতে মাঠের চারপাশে ভিড় করে সাধারণ মানুষ। এরপর সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে শিশু আছিয়ার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনো প্রয়োজনে আছিয়ার পরিবারের পাশে থাকবে জামায়াতে ইসলামী। এসময় আছিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী আসামিদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান শফিকুর রহমান। এরপর জেলা জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অনেক সময় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে বাঁচিয়ে অন্য আসামিদের ফাঁসি হয়, কিন্তু যদি কোরআনের আইন কায়েম হয় তাহলে শতভাগ ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। ন্যায় বিচারের নামেও কারো উপর জুলুম হবে না। আবার জালেম ও এখান থেকে রেহাই পাবে না। এজন্যই আমাদের লড়াই। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা ৯১ দিন দেখতে চাই না, সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে বিচার, রায় ও কার্যকর আমরা দেখতে চাই। আমাদের সমাজে এই সমস্ত জঘন্য কাজে যারা লিপ্ত হবে আমরা সামাজিকভাবে তাদেরকে বয়কট করি, ঘৃণা করি ধীক্কার জানাই। এরা যেন সমাজের কোন স্থানে জায়গা না পাই। সে যত বড় লোকই হোক, লম্পট তো লম্পটই। সে দুষ্কৃতিকারী। তাকে শাস্তি পেতেই হবে। ধর্ষণ-নিপীড়নের সাথে জড়িতরা যতো প্রভাবশালীই হোক না তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। কবর জিয়ারত শেষে আছিয়ার রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন জামায়াত আমীর। এরপর সোনাকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে আছিয়ার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। যদিও তখন বাড়িতে ছিলেন না আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার। এসময় আছিয়ার খালা ধোলা বেগমকের সাথে সাক্ষাৎকালে আছিয়ার পরিবারর পাশে জামায়াতে ইসলামী সব সময় থাকবে আশ্বস্ত্ব করেন।