স্টাফ রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুর এলাকায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিন্টুর বাড়ি দখলের চেষ্টায় দিনভর হামলা ও ভাংচুর করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যুরা। এই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লিপি আক্তার গত ২৮ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরও মামলা নিতে গড়িমশি করছে নাঃগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
লিখিত অভিযোগে জানাযায় কিল্লারপুল মাজার গলিতে রনাঙ্গনের সৈনিক মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিন্টুর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে উক্ত ঘর ভাড়াটিয়ার নিকট ভাড়া দিয়া ভোগ দখল করিয়া আসছে তারই কন্যা লিপি আক্তার। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত শওকত আলীর ছেলে মনির হোসেন মুকুল এবং তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানাসহ মুকুলের ছেলে নিলয়, নির্জন ও আক্তার হোসেনের ছেলে সূর্য জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করে এবং লিপি আক্তারসহ তার পরিবারকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। উক্ত বিষয়াদি সংক্রান্তে একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে বিচার শালিস করলেও অপরাধিরা কারো কথার তোয়াক্কা না করে বরং বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়াদের নানা ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি প্রদান করে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১লা জানুয়ারি রাত্র আনুমানিক ১০:৩০ টায় সন্ত্রাসীরা বাসার মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।
ঐ সময় বাসায় প্রবেশ করার জন্য লিপি আক্তার তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে উক্ত সন্ত্রাসীরা তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং বাসা ছেড়ে চলিয়া যাওয়ার হুমকি দেয়। উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ভুক্তভোগী লিপি আক্তার একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যাহার নং-৮৮। কিন্তু তার পরেও আসামিরা একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২:৩০ টায় বাদী বাসায় থাকা অবস্থায় আসামিরাসহ অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর চালায় এবং কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি করে। হামলার সময় বাধা দিতে গেলে আসামিরা বাদির বোন লিজাসহ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধা সাহাবানুকে মারধর করে আহত করে।
কিশোর গাং এর সদস্য বখাটে নির্জন বাদির বোন লিজা ও মুনার হাত থেকে দুইটি এনড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও লিজার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের মারধর করে সম্পূর্ণ ভাড়াটিয়া বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় এবং ভাড়াটিয়াদের ঘরের সকল মূল্যবান মালামাল ভাংচুড়সহ তাদের ঘরে থাকা রক্ষিত নগদ টাকা পয়সা ও অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তিভোগীরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিদর্শন করে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেয়।
কিন্তু লিপি আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনায় ভুগে নাঃগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কর্তব্যরত অফিসার এবং থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমশি করছে এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে মামলা নিতে থানা পুলিশের সমস্যা হচ্ছে বলে যানা গেছে। অথচ উল্লেখিত ঘটনার স্বাক্ষী প্রমাণসহ ভিডিও ডকুমেন্টারী ও সচিত্র ছবি রয়েছে। শত শত লোক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে আর ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের ধিক্কার জানিয়েছে তারপরও ২ দিন অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা রেকর্ড হয়নি। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।