1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
মুন্সিগঞ্জ আ'লীগের লিডারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে (দুদক)। - শিক্ষা তথ্য
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঠিক মাস্টার প্লানের মাধ্যমে পায়রা বন্দরকে আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, নৌ পরিবহন উপদেষ্টা গলাচিপায় ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১ জুলাই- আগষ্ট শহীদের স্বরণে পটিয়ায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন ইদ্রিস মিয়া বাউফলে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা পটিয়ার আজিমপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যার হুমকি সমন্বয়হীনতার কারণে কোন কাজের ব্যত্যয় যাতে না ঘটে- জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম মধুপুরে স্বপন ফকির এর পক্ষ থেকে সুপ্রীয়া ম্রী পেলেন ঘর তৈরির ঢেউটিন আমরা আর খুনি ও চাঁদাবাজদের সহযোগী হবো না: রেজাউল করিম রূপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এনসিপির কর্মীদের উপর হামলা রূপগঞ্জে বিদেশী পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ আ’লীগের লিডারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে (দুদক)।

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
  • ৯০ Time View

মোঃ সুজন বেপারী স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার – মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে লিডারসহ ৭ জনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ (দুদক)।

বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতি দমনের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন ও উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ দুর্নীতির আওতায় তদন্তে মামলার আসামিরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ এর দ্বিতীয় স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা ও সাবেক এমপি মুন্সিগঞ্জ তিন আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের স্ত্রী নিলীমা দাস ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসউজ্জামান আনিস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া আফসুর ও মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ ক্ষমতারপ্রভাবে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমনের দুদক কর্মকর্তারা জানান মহিউদ্দিন আহম্মেদ ৪টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক এবং তার স্ত্রী সোহানা তাহমিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও অন্যান্যভাবে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে– মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে ১৭৪.৯০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট যার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ টাকার ১টি ল্যান্ড ক্রুজার টয়োটা গাড়ি। এছাড়া তাদের আরও অনেক সম্পদ নামে-বেনামে রয়েছে।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আনিসুজ্জামান আনিসের মুন্সীগঞ্জ শহরে ৩ হাজার ৯৬০ বর্গফুট বিশিষ্ট ‘মুন্সীগঞ্জ টাওয়ার’ নামের পাঁচ তলা ভবনসহ মুন্সীগঞ্জের কোর্টগাঁও মৌজায় দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন। ২০২৩-২৪ আয়কর নথিতে তার নিট সম্পদের মূল্য ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫২ টাকা।

মো. শহিদুল ইসলাম শাহিন সাবেক মেয়র মীরকাদিম পৌরসভা এলাকায় পাঁচ তলা বহুল ভবন নির্মাণ করেন। আফসার উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে সোয়া চার কোটি টাকার সেতু নির্মাণের অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। সেতু নির্মাণের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আফসার উদ্দিন ভূইয়ার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাসের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং আটটি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জমা ও উত্তোলনসহ মোট দুই কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

এছাড়াও নিলীমা দাস তার স্বামী মৃণাল কান্তির সহায়তায় নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখল রাখা এবং নিজ নামীয় ৩০টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জমা ও উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। উক্তরূপ অপরাধের জন্য (১) নিলীমা দাস এবং (২) মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা; এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা রুজু করা হয়।

এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে রাঘব বোয়াল চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না। যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি।অপারেশন ততদিন চলবে যতদিন ডেভিল মুক্ত না হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি