সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ‘অনেকেই মন্তব্য করেছেন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে গণ অধিকারকে এমপি বানানোর জন্য যারা মাঠে নেমেছে, কোন কারণে যদি গণ অধিকারের প্রার্থী এমপি হয় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলতে পারবে না। তাদের নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এমন অনেক রাজনৈতিক কৃতিত্ব আছে যাদেরকে আমরা আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সঙ্গে নেই না। তাদেরকে গণ অধিকারে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। তাদের অতীতের কর্মকা- দেখবেন, আমাদের কর্মকা- দেখবেন। যদি আমাদের কোন কিছুর কারণে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকেন আমাদের বিরুদ্ধে আপনারা সিদ্ধান্ত নিবেন, আর যদি তাদের আচার আচারণে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবেন।
’ গলাচিপার আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার বিকেল ৫টায় ডাকুয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জনসভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। তিনি আরো বলেন, ‘এই এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইবোনদের বলবো, আপনারা চিন্তা করুন এতো দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো তারা কেবল তাদের সামর্থ অনুযায়ী আপনাদের জন্য চেষ্টা করেছে। কখনো সফল হয়েছে কখনো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি।
আমাদেরও সফলতা ব্যর্থতা থাকতে পারে। যাকে ভোট দিলে যাকে সমর্থন দিলে এই জনপদে আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবেন, আপনার সন্তান নিরাপদে স্কুলে যেতে পারবে, আপনাদের সম্পদ নিরাপদ থাকবে, আপনাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদে থাকবে- আপনারা তাদেরকেই ভোট দিবেন।’ এ জনসভায় ডাকুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. সরোয়ার খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, সহসভাপতি খন্দকার মিজানুর রহমান, এড. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান শাহিন প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ জনসভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। হাসান মামুন বলেন, ‘রাজনীতি করি জয় পরাজয় যাই হোক না কেন, আমি ব্যক্তি হাসান মামুন আপনাদের ডাকুয়ার নাতি, ভাগ্নে হিসেবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকবো। বিগত ১৭বছর আমরা যে আন্দোলন করেছি নির্যাতিত হয়েছি, কারা বরণ করেছি, আলহাজ্ব শাহজাহান খান জীবন দিয়েছেন অন্য কোন দলকে এখানে এমপি বানানোর জন্য নয়, অবশ্যই বিএনপির এমপি বানানোর জন্য শহিদরা জীবন দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানি গলাচিপা-দশমিনায় (পটুয়াখালী-৩) শন্তিপূর্ণ জনপথ হিসেবে ১৭ বছর থাকার চেষ্টা করেছি।
কখনো কখনো আওয়ামী লীগের হামলায় কিংবা অত্যাচারে আমরা নির্যাতিত হয়েছিলাম। আইনের মাধ্যমে হোক আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে হোক আমরা এ জনপদে শান্তি ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আপনারা জানেন ৫ তারিখের পরে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের অভ্যুদয় হয়েছে। আচার আচারণে তারা সরকারি দলে চলে গেছে। তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে উস্কানি দিচ্ছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। চরবিশ্বাসে আমাদের দলীয় কার্যালয় ভেঙ্গে দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করেছে। আমরা ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করেছি। ধৈর্যের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের বিজয় সিনিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ।’