নিজস্ব সংবাদদাতা: যুক্তরাষ্ট্র আলাদা করে বাংলাদেশের পণ্যের উপর পয়ত্রিশ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক গুলো গার্মেন্টস আছে। শুধু গার্মেন্টসই নয় গার্মেন্টসের পাশা-পাশী অনেক গুলো সেক্টর জড়িত রয়েছে। সবগুলো সেক্টরই এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন করে এ-ই শুল্কারোপ হলে একটা বৃহত্তর গোষ্ঠী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। গার্মেন্টস এর পাশা-পাশী সকল ব্যবসায়ীরাই ক্ষতির মুখে পড়বেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরীর চাঁনমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ভবনে ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন- সরকারের কাছে আবেদন, আমরা যেনো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কথা বলে পয়ত্রিশ শতাংশ হার যেনো কমানোর ব্যবস্থা করা হয়। যে-টা আগে ছিল ষোল শতাংশ। নতুন করে পয়ত্রিশ শতাংশ শুল্কারোপ হলে, পূর্বের ষোল শতাংশ মিলে মোট একান্ন শতাংশ হবে। আমাদের সাথে প্রতিযোগিতায় থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক অনেক কমানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের উপর এখন পর্যন্ত আশাবাদী হতে পারছি না।
তিনি বলেন- আমরা আশা করি বর্তমান সরকার এ-ই শুল্ক কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবে। আমরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেছি। আমাদের সাথে চৌত্রিশ ব্যবসায়ী সংগঠন আছে। আমরা প্রতিটি সংগঠনের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলেছি। সকলেই একমত হয়েছেন, আমরা সরকারের কাছে আবেদন করবো। যেকোন উপায়েই হোক এ-ই পয়ত্রিশ শতাংশ হারে শুল্ক যেনো কমিয়ে আনা হয়। যাতে করে নারায়ণগঞ্জ সহ পুরো দেশবাসী বেঁচে যায়।
সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু নারায়ণগঞ্জে যানজট নিরসন ও ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস সবসময় সহযোগীতা করবেন বলে জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, পরিচালক গোলাম মুহাম্মদ কায়সার, মোঃ সোহাগ, আহমেদুর রহমান তনু ও সোহেল আক্তার সহ অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশের পণ্যের উপর পয়ত্রিশ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এ-ই শুল্কারোপের তালিকায় বাংলাদেশের পাশা-পাশী কোরিয়া জাপান সহ আরও চৌদ্দটা দেশ রয়েছে। তবে শুল্ক কার্যকরের সময় বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর-ই মধ্যে অন্য কোন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না হলে, কার্যকর হবে পহেলা আগষ্টে নতুন এ-ই শুল্ক।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস’র নিকট পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন- ২০২৫ইং সনের পহেলা আগষ্ট মাস হতে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশের সকল পণ্যের উপর পয়ত্রিশ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। এছাড়াও ট্রান্স শিপ ম্যান্টলের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হলে সেখানেও এ-ই শুল্ক প্রযোজ্য হবে।