আজ ,১৯শে অক্টোবর রবিবার, রাত পোহালেই কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসব, সারাদেশ জুড়ে পালিত হবে এই দীপাবলি, অন্যদিকে ব্যস্ততা দেখা গেল কুমারটুলির মৃতশিল্পীদের, প্রতিমার কাজ শেষ করতে, অন্যদিকে বাজারে বাজারে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত মৃত শিল্পীদের প্রতিমা সাজিয়ে বসে থাকতে।, এমন কি বাজারজুড়ে ফল মূল ফুল বেল পাতা নিয়ে বসে থাকতে বিক্রেতাদের, চলবে আজ সারা রাত ধরে ক্রয়-বিক্রয়ের কেনাবেচা। পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার পালা।
আর এই দীপাবলিকে ঘিরেই শুরু হয়ে গেছে কোথাও প্রতিমার শুভ উদ্বোধন, ঘরে ঘরে প্রদীপ ও আলোর রসনায়, আকাশে বাতাসে বারুদের গন্ধ, রংবেরঙের বাজির আওয়াজ। রাস্তায় রাস্তায় প্রশাসনের সতর্ক নজরদারি।
ক্রেতা অর্থাৎ পূজা উদ্যোক্তারা জানালেন, আমাদের বাজেট কুলিয়ে উঠতে পারছি না। যাহাতে আমাদের মতো ছোট ছোট পুজো গুলো বাজেটের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে।।
কারণ সরকার রাস্তা বা কোথাও চাঁদা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, চাঁদা তুললে তাই দাঁড়িয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন, পাড়ার প্রতিবেশীরাও চাঁদা দিতে চাইনা , কারণ একই মাসে অনেকগুলি পুজো পড়ে যাওয়ায়।
এদিকে বাজারে এসে আমাদের মাথায় হাত, কারণ প্রতি বছরই প্রতিমা থেকে শুরু করে ফলমূলের দাম বেড়েই চলে। কখনো কমেনা, যে প্রতিমা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় কিনতাম, সেই প্রতিমা দাম বেড়ে হয়েছে ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা, এবং ফলমূলের দাম এতটাই বেড়ে যায়, দেড়শো থেকে 200 টাকার নিচে কোন ফল পাওয়া যায় না। অন্যদিকে ডেকোরেটরাও তাদের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন, যার ফলের সব দিকেই বাজেটের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই আমরা কোনভাবে মাকে নিয়ে গিয়া আরাধনা করি, বড় বড় পুজো উদ্যোক্তাদের সবাই সবকিছু দেয়। আমরা চাইলেই না বলে দেয়। তবে যত সন্দেহ হচ্ছে বাজারে বাজারে ভিড় জমে উঠেছে।।