মোঃ শিমুল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: যে সমাজে চিকিৎসা সেবা আজ বাণিজ্যিকতার উচ্চতম পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক আছেন যাকে নিয়ে মানুষের মুখে শুধুই সন্তুষ্টি, কৃতজ্ঞতা আর ভালবাসার গল্প। তিনি ডাক্তার রিয়াজ হোসেন (এস এ চি এম ও) সাধারণ ডাক্তার নন; রায়পুরবাসীর চোখে তিনি গরিবের ডাক্তার, মানবিক ডাক্তার, একজন প্রকৃত সেবক। নোয়াখালীর মাইজদী সোনাপুরে জন্ম নেওয়া এই মানুষটি আজ রায়পুরবাসীর হৃদয়ের কেন্দ্রে পৌঁছেছে নিজের পরিশ্রম, সততা ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ দিয়ে। তার রোগী দেখার ধরন, আন্তরিকতা, সৎ ব্যবহার, এবং সময় দেওয়া। সবই তাকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করেছে। মাটির মানুষ রিয়াজ হোসেন, রায়পুরবাসীর নির্ভরতার নাম। রায়পুরে ঘুরে দেখলে বোঝা যায় ডাক্তার রিয়াজ হোসেন শুধু চিকিৎসক নন, তিনি এক আবেগের নাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষায়, রায়পুরে এমন মানুষ কম পাওয়া যাবে যে ডাক্তার রিয়াজকে চেনে না, হয়তো শুধু সেই মানুষটিই চেনে না,যার জীবনে কখনো কোনো চিকিৎসা নেয়া লাগেনি। একজন দরিদ্র কৃষক থেকে শুরু করে দিনমজুর, রিকশাচালক, শ্রমিক, গৃহিণী, সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রোগীরা বলেন, তিনি যখন রোগী দেখেন, তখন তার চোখে থাকে দায়িত্ব; কথায় থাকে মমতা। তিনি রোগীকে শুধু প্রেসক্রিপশন দেন না, দেন সাহস, দেন আশ্বাস, দেন মানসিক শক্তি। একজন ডাক্তার নয়, রায়পুরের ভাই, সন্তান ও গর্ব। রোগী, স্বজন, স্থানীয় সমাজের অনেকেই বলেন। রিয়াজ হোসেনকে শুধু ডাক্তার বললে ভুল হবে। তিনি আমাদের পরিবারের মানুষ। কারও ভাষায় তিনি ভাই, কারও কাছে তিনি সন্তানের মতো। অনেকে আবার বলেন, রায়পুরের গর্ব হলো ডাক্তার রিয়াজ। এই আস্থা ও ভালবাসা কোনো এক দিনে তৈরি হয়নি, দীর্ঘদিনের সততা, কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিক সেবার ফল এটি। রোগীদের প্রশংসা, ভালবাসায় ভরপুর কণ্ঠস্বর। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বজন মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ডাক্তার রিয়াজ হোসেনের মতো মানুষ হওয়া কঠিন। তিনি কখনো রাগ করেন না, বিরক্ত হন না; বরং প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের মতো দেখেন। স্থানীয় সমাজসেবক সৈয়দ শামসুল জানান। বিনা স্বার্থে বহু বছর ধরে তিনি রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। সরকারি চাকরি করলেও তার মধ্যে কোনও অহংকার নেই। তিনি সত্যিকারের মানুষের ডাক্তার। আবুল বাসার রেজা নামের একজন রুগির অভিভাবক বলেন। আমি বারবার এখানে রোগী নিয়ে আসছি। কখনো হয়রানির শিকার হইনি। এমন ডাক্তার আজকাল কোথায় পাওয়া যায়? রিয়াজ হোসেনের মতো আরেকজন ডাক্তার পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানবিকতার বাতিঘর। সকলের ধারণা, ডাক্তার রিয়াজ হোসেন থাকায় রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানুষ স্বস্তির সাথে আসে। কেউ কেউ বলেন, হাসপাতালে ঢুকলেই তার মুখ দেখতে পাওয়া মানে অর্ধেক অসুখ ভালো হয়ে যাওয়া। রুগীদের সজনরা বলেন, রিয়াজ হোসেন নাইলে হয়তো আমরা অনেকেই চিকিৎসাসেবায় নির্যাতিত হতাম, তিনি না থাকলে আমরা হয়তো হারিয়ে যেতাম। মানবিক চিকিৎসার বাস্তব উদাহরণ। রোগীরা জানান, তিনি রোগীর সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন, অর্থ না থাকলে ওষুধ কিনতে চাপ দেন না, দরিদ্র মানুষের প্রতি আলাদা যত্ন নেন, জটিল রোগীর ক্ষেত্রে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করণীয় বলে দেন, কখনো অযথা টেস্ট লেখেন না, কখনো রোগীকে অপমান করেন না, অনেকে বলেন, ডাক্তার রিয়াজ হোসেন আমাদের সমাজের একজন গর্ব। রায়পুরবাসীর দোয়া, এই মানুষটি আরও দীর্ঘদিন থাকুক, রায়পুরের সাধারণ মানুষের প্রার্থনা। যেন ডাক্তার রিয়াজ হোসেন আরও বহু বছর রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জনগণকে সেবা দিতে পারেন। কারণ তার মতো একজন সৎ, বিনয়ী ও মানবিক ডাক্তার শুধু একজন ব্যক্তিই নয়, তিনি যেন এই সমাজের জন্য এক বড় শক্তি, এক অনুপ্রেরণা। চিকিৎসা শুধু পেশা নয়, এটি মানবতার সেবা। এই কথাটির জীবন্ত প্রমাণ ডাক্তার রিয়াজ হোসেন। সততা, সেবা ও মানবিকতার শক্তিতে তিনি হয়ে উঠেছেন। রায়পুরের গরিবের ডাক্তার, রায়পুরবাসীর গর্ব, এবং এক মানবিক চিকিৎসকের সেরা উদাহরণ।