মাটি মামুন রংপুর: রংপুরে রিপোর্টের কথা বলে সাংবাদিককে ডেকে মারপিট করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে আহত সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ বাবু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০:১৫টায় সংবাদ করার কথা বলে ডেকে, এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী শেখ শহীদ। রংপুর মহানগরীর সাতমাথা বাজারের পুর্বদিকে মেসার্স তালুকদার ফিলিং স্টেশন (বন্ধ পাম্প) সংলগ্ন আব্দুল আব্দুল খালেক এর চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় মাহিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, সাতমাথা বাজারের ব্যবসায়ী শামীম আশরাফ, চা দোকানী আব্দুল খালেক এর ছেলেসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মদখোর শেখ শহিদ মাতাল অবস্থায় সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ বাবুর উপর অতর্কিত হামলা করেন। এবং প্রকাশ্যেই তাকে জ*বা*ই করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
এবিষয়ে নির্যাতিত সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ বাবু বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম এরই মাঝে কথা হয় শেখ শহীদের সাথে।
তিনি জরুরী একটি সংবাদ করতে হবে মর্মে আমাকে রংপুর মহানগরীর সাতমাথায় ডাকেন।
তার ডাকে সাতমাথায় এসে বন্ধ পাম্প সংলগ্ন খালেকের চায়ের দোকানে বসে কথাবার্তার একপর্যায়ে, ৩০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু ও ব্যবসায়ী শামীম আশরাফ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন।
রাত ৯:৫৮ মিনিটে আনোয়ার হোসেন আনু, মাহিগঞ্জের আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির একটি কাগজ আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান, এবং শহীদকে ইশারা করেন এর পরেই সন্ত্রাসী মাতাল শহিদ আমার বুকে, মুখে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারাসহ বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে টুটি চেপে ধরে, শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা আমাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসীরা আমাকে আহত করেন এবং বলেন, এরপরে আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে কোন রিপোর্ট করলে জবাই করবেন।
আনোয়ার হোসেন আনু মাহিগঞ্জের মানুষকে অশ্লীল মন্তব্য করেন।
বর্তমানে সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ বাবু
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা ধিন অবস্থায় আছেন।
সাংবাদিক বাবুর উপর পরিকল্পিত হামলার বিষয়
জানতে চাইলে, মাহিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু নিজের
বলেন,২৯ ফেব্রুয়ারী ২৪ইং শেখ শহিদ সাংবাদিক
হারুন-অর-রশিদ বাবুকে রিপোর্ট করার কথা বলে
সাতমাথায় ডেকে এনে, তার উপর হামলা করাটা
ঠিক হয়নি।
তিনি আরও বলেন বাবু আমার ছোট
ভাই, ঘটনার পরে আমি তাকে ঔষধ কিনে দিয়েছি।
আসলে ঘটনা আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়কে নিয়ে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহিগঞ্জ থানার সেকেন্ড
অফিসার, এসআই ইজার আলী বলেন, ওসি স্যার
ছুটিতে আছে, সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ বাবু’র
উপর হামলার কথা সকালে শুনেছি। এখনো কোন
অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আমরা আইনী
ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।