1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে ঝুঁকিতে ভবন, ধস ও প্রাণহানীর আশঙ্কা - শিক্ষা তথ্য
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে ঝুঁকিতে ভবন, ধস ও প্রাণহানীর আশঙ্কা গলাচিপায় জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন গলাচিপায় বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ক্যাম্প শ্যামনগরে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ উপলক্ষে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত শহীদ পরিবারের পাশে থাকেবন জেলা প্রশাসক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পক্ষপাতদুষ্ট ও অস্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া আইনের শাসনকে ব্যাহত করবে ১১৫ জন কবি সাংবাদিক,লেখক ও কলা-কুশলীদের বিবৃতি ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি’র সভাপতির সঙ্গে তোজা’র নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় না’গঞ্জে প্রয়াত যুবদল নেতা ডেভিড’র মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রাইম বাবুল’র দোয়া মাহফিল পটিয়া থানা পুলিশের অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার-২ রূপগঞ্জে অবৈধ গরুর হাটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে ঝুঁকিতে ভবন, ধস ও প্রাণহানীর আশঙ্কা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৬ Time View

মোঃ আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো, বরপা, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চনসহ আশপাশের এলাকায় বিল্ডিং কোড না মেনেই শিল্পকারখানা ও ঘরবাড়ি নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২১নভেম্বর ভূমিকম্পে শিল্পকারখানা ভবনের দেয়াল, ঘরবাড়িসহ স্থাপনার দেয়াল ফেটে যাওয়া অংশ জোড়া-তালি দিয়ে ব্যাবহার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ভূমিকম্প হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও দেয়াল ধসে প্রাণহানীর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় এক হাজারের অধিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। শিল্প কারখানাকে কেন্দ্র করে এখানে জীবন মান উন্নয়নের পাশাপাশি বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

অধিকাংশ শিল্প কারখানা ও বাড়িঘর বিল্ডিং কোড না মেনেই নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পে বেশকয়েকটি শিল্প কারখানা, বাড়িঘর ও মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনার ফাটল দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া ইসলামবাগ এলাকায় দশ মাস বয়সী ফাতেমা আক্তার নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী জানায়, বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ধসে পড়তে পারে কয়েক হাজার ভবন ও শিল্প-কারখানা। নকশা বহির্ভূত শিল্প কারখানা ও বাড়ির ভবন গুলোতে দায়সারা অভিযান চালায় প্রশাসন ও রাজউক। ভবনের নকশা, নির্মাণ, পরিবর্তন, নিয়মনীতি হচ্ছে বিল্ডিং কোডের মানদন্ডের সেট। এর মাধ্যমে জনসাধারণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা যেমন ভবন ধস ও ক্ষতি প্রতিরোধ করা। বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সঠিক নকশা, উন্নত মানের রড, ইট, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করতে হয়।

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো ভবন নির্মাণ করছে। গত শুত্রবারের ভূমিকম্পে ভবনটির পলেস্তরা খসে পড়তে দেখা গেছে। ভূমিকম্পে রূপগঞ্জের এওয়ান পোলার, আবুল খায়ের গ্রুপের রবিনটেক্স কারখানা ও ম্যাক্স স্যুয়েটারসহ বেশকয়েকটি শিল্প কারখানার ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। মাটি দিয়ে তৈরি করা ঘরের দেয়ালেও ফাটল দেখা গেছে। এদিকে ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাবো। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও।

সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা। এ কারণে রূপগঞ্জ উপজেলাও বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে শিল্প কারখানার ভবন ধসে বড় ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। ভবন নির্মাণের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, সঠিক নকশা ও জরুরী সিঁড়ি ও আবাসিক অনুমোদন থাকা জরুরী। রূপগঞ্জে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। এদের মধ্যে তারাবো পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বহুতল ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এসকল এলাকার ভবন নির্মাণের মানা হয়নি কোন প্রকার নিয়ম নীতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও একটু বেশি সময় স্থায়ী হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধ্বংসযজ্ঞ।

কাজেই এ ব্যাপারে অবহেলা করার সুযোগ নেই। সবার আগে ভেঙে ফেলতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো। তারপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, রূপগঞ্জে অনেক পুরানো ভবন রয়েছে। তারাবো চনপাড়া ঘনবসতিপূর্ন এলাকা। এগুলোর প্রায় সিংহভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন অনেক ভবনও ভূমিকম্প প্রতিরোধী নকশা ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারে ভবনগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘যেসব ভবন রেট্রোফিটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে।

যে সকল ভবন টেকনিক্যালি ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব নয়, সেগুলো ভাঙতে ফেলতে হবে। তারাবো পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, অবৈধভাবে ভবন নির্মাণে আমরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করি। নানা প্রতিকূলতায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ করা যাচ্ছে না। রূপগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, ভূমিকম্পে করণীয় বিষয় নিয়ে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদনবিহীন ভবন তৈরির পাশাপাশি নির্দিষ্ট মাপের জায়গা না রেখেই অনেকে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান রয়েছে।

কিন্তু সুফল হচ্ছে না। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভূমিকম্পে ফেটে যাওয়া ভবন সরকারি ও বেসকারি প্রকৌশলী দলের পরিদর্শন অব্যাহত রয়েছে। ভবনের কোন কোন অংশে ফাটল দেখা দিলেও কাঠামোগতভাবে জুঁকিপূর্ণ নয়। ধর্য্য ও তথ্যের সততা যাচাই দুর্যোগে আমাদের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। যাচাই-বাচাই ছাড়া কোন তথ্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচার বন্ধ করতে হবে। গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করা দন্ডনীয় অপরাধ। গুজব দুর্যোগের চেয়েও ভয়াভহ। আতঙ্ক নয়, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি