1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
রূপগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কে এম সফিউল্লাহ(বীরউত্তম) আর নেই - শিক্ষা তথ্য
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাউফলে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে অটোচালককে হত্যা লামায় জাতীয়তাবাদী কলেজ ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি’র সংবাদ সম্মেলন রোয়াংছড়িতে পাবর্ত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের ১০৮জন সিএসপি মাদেরকে আইজিপি সামগ্রী বিতরণ বাউফলে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার চক্রশালা কৃষি স্কুলে তিনদিন ব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পুর্ন ফুলপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত আ’লীগ-বিএনপি নেতা কর্তৃক দিনমজুর আকরামের উপর হামলা,বিএনপি নেতার অস্বীকার পটিয়ায় খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী আজমেরী (র:) ওরশ পরিচালনা কমিটি’র আনন্দ র‌্যালি সাংবাদিক নজরুলের রূহের মাগফেরাত কামনায় বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া

রূপগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কে এম সফিউল্লাহ(বীরউত্তম) আর নেই

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১২ Time View

মোঃ আবু কাওছার মিঠু  রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের প্রথম ও সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য, ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধ কালীন এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন।  ২৬জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  জানা গছে, ১৯৩৪সালের ২সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।  ১৯৫০ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে পড়া অবস্থাতেই যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৫৫ সালে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালে ডিফেন্স স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি করেন। তিনি স্কুল অব ইনফেন্টিতে প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৭০ সালে পদোন্নতি পেয়ে আবার ব্যাটেলিয়নে ফিরে আসেন কেএম সফিউল্লাহ।  ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন। তাঁর খেতাবের সনদ নম্বর দুই। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার। পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা এস ফোর্সের প্রধান হন। মুক্তিযুদ্ধের আগে কেএম সফিউল্লাহ ছিলেন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কেএম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৩নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন কেএম সফিউল্লাহর। তাঁর অধীনে থাকা ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ। মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর মাসে তাঁর নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় এস ফোর্স। এই ফোর্সের অধীনে ছিল দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ১১নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। কেএম সফিউল্লাহর নির্দেশে ও নেতৃত্বে অসংখ্য দুর্ধর্ষ ও সফল অপারেশন পরিচালিত হয়। তিনি এসব অপারেশনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেন। কেএম সফিউল্লাহর পরিকল্পনায় সিলেটের একাংশ, আশুগঞ্জ, ভৈরব ও মাধবপুর হানাদারমুক্ত হয়। তাঁর নেতৃত্বে হানাদারমুক্ত হয় আশুগঞ্জ, ভৈরব, লালপুর, আজবপুর, সরাইল, শাহবাজপুর, মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর।  ৬ডিসেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে কেএম সফিউল্লাহ আশুগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর এক জেসিও প্রায় লাফিয়ে কেএম সফিউল্লাহকে জাপটে ধরে তীব্র ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে কেএম সফিউল্লাহকে লক্ষ্য করে তিনি স্টেনগানের ট্রিগার চাপেন। এসময় কেএম সফিউল্লাহর কোমরে বাঁধা পিস্তলে গুলি লাগে। কেএম সফিউল্লাহর জেসিওর মাথায় কয়েক দফা আঘাত করতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান জেসিও। কেএম সফিউল্লাহ রাইফেল নিয়ে তাদের গুলি করতে গিয়ে দেখেন রাইফেল ভাঙা। কোমরে থাকা পিস্তলও বিধ্বস্ত। এ সময় কেএম সফিউল্লাহ কচুরিপানা আর কাদাপানিতে ডুবে প্রাণে বেঁচে যান।  মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেএম সফিউল্লাহ। ১৯৭৩ সালের তিনি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে আসলে তাঁকে ১ বছরের জন্য ওএসডি করে রাখা হয়। ১৯৯২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে জান। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।  ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩সালে রূপগঞ্জ গ্রামে তাঁর পিতার নামানুসারে কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি