রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সড়ক মহাসড়কে অবাদে চলছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন। মাসোহারার ভিত্তিতে চলছে ত্রিচক্রযান। হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন সকাল-বিকাল ওইসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন আটক করছে। আবার দেড় হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে যানবাহন। রূপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের সামনে প্রতিদিন হাইওয়ে পুলিশের ওসি আশরাফ ও ঢাকা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা আটক করে। পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অটোরিকশা ছাড়াতে দেড় হাজার টাকা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা নির্ধারন করে দেন। এক সাথে ১৫ থেকে ৩০টি যানবাহন আটক করে এ বাণিজ্য করা হয়। যানবাহনের আটক বাণিজ্যের কারণে ফুসে উঠছে স্থাণীয় চালকেরা।অন্যদিকে আটক বাণিজ্য নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ ব্যস্ত থাকায় সড়ক, মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। এছাড়াও ভুলতা, গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া, মুন্সি পাম্পের সামনে, কালাদী, চাঁন টেক্সটাইল ও কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশে হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন ভোরে এবং সন্ধ্যার পর যানবাহনে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে। একাধিক সিএনজি চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাইওয়ে পুলিশের আলী আশরাফ ও এসআই নাজমুলের সাথে মাসোহারা না করলেই গাড়ি আটক করে হয়রানি করে। তাই বাধ্য হয়ে মাসোহারা করে সড়কে গাড়ি চালাই। এছাড়াও অন্য রুটের গাড়ি এলে আটক করে ৫-৭ হাজার টাকা আদায় করা হয়। সড়কের যানজটের জন্য তারা হাইওয়ে পুলিশকেই দায়ী করেছেন। ভুলতা হাইওয়ে পুলিশের ওসি আলী আশরাফ জানান, মাঝে মাঝে ফিটনেসবিহীন যানবাহন আটকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে মাসোহারা আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া ভুলতা-কাঞ্চন সড়কে যানজট সৃষ্টির জন্যই ভুলতা এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।