1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
লক্ষ্মীপুরে তিন পরিবারের সম্পত্তি জবরদখল করে হত্যার হুমকি - শিক্ষা তথ্য
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাজুর উদ্যোগে জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত জাকির খানের পক্ষ থেকে যুবদল নেতা ইমরানের উদ্যোগে জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন নাসিক ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আতাহারের আয়োজনে জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির উদ্যোগে মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঈদ উপহার উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ তারাকান্দায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার ফুলপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত বাউফলে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন নড়াইল সদরে গরুর হাটে সরকারি নির্ধারিত অতিরিক্ত ইজারা সেনাবাহিনী মোবাইল কোর্ট

লক্ষ্মীপুরে তিন পরিবারের সম্পত্তি জবরদখল করে হত্যার হুমকি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
  • ৫২ Time View
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর পৌর শিশু পার্ক সংলগ্ন স্থানে কাগজ জালিয়াতি করে নামজারি জমা খারিজ করার অভিযোগ উঠেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির মাষ্টারের পরিবারের বিরুদ্ধে। তাহারা দলিল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে বাহার উদ্দিনের ডিপি খতিয়ান জালিয়াতি করে সাজ্জাদ হোসেন, রাবেয়া আক্তার,তানজিনা আক্তার নাম দিয়ে একটি ভূয়া ডিপি খতিয়ান তৈরি করছে। পৌর ভূমি কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভূমি করও দিয়েছে তারা। অথচ এই ভূয়া খতিয়ানের কোন তথ্য নোয়াখালী উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে পাওয়া যায়নি।
এখানেই শেষ নয় সাজ্জাদ গংদের জালিয়াতি তারা অন্য কাগজপত্র দিয়ে পৌর ভূমি অফিসারের সহযোগিতা ২০ এপ্রিল ২০১৯ ইং একটি জমাখারিজ (১০০১০) ৪৬০১/২০১৮-১৯ইং করেন। যাহা বর্তমানে আরএস (ছাপা) খতিয়ান হওয়ার কারণে পূর্বের ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে যেই নামজারি করেছে তাহা বর্তমান অটোমেটিক বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই জালিয়াতি বিষয়ে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাছে একটি মিছ মামলা করেন ভুক্তভোগী। এসব জালিয়াতি কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগেও ৮০৪৩ দাগে সাজ্জাদ হোসেন একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত মতামত নেওয়ার জন্য অবৈধ দখলদার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গং’রা লক্ষ্মীপুরের কয়েকজন সিনিয়র এডভোকেটদেরকে দিয়ে গত ১৯-০৪-২০১৪ইং তারিখে একটি আইনি সালিশের আয়োজন করেন। উক্ত আইনি সালিশে ১ম পক্ষ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গং কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ২য় পক্ষ মোঃ শাহাজান,মোঃশহীদুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান ৮০৪৩ দাগে ২৬ ডিং ভূমির মালিকানা ও দখল এবং দালিলিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তাহারা জানান, ১১৬৩ খতিয়ানে ৮০৪৩ দাগে জমি ২৬ শতাংশ জমিনের জন্য ১০ এপ্রিল ২০০০ সালে একটি স্হানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর জমিনের মুল মালিকগণ তিনজনের কাছে  বিক্রিয় করেন। ঐ তিন জনের নামে ২০০৭/ ২০০৮ সালে জমাখারি খতিয়ান করাও হয়েছে এবং বর্তমানে  ছাপা খতিয়ান ঐ তিনজনের নামে হয়েছে।
জানাযায়, ১১৬৩ খতিয়ানে ৮০৪৩ দাগে মোট জমির পরিমান ২৬ শতাংশ। ঐ ৮০৪৩ দাগের মোট জমিন ২৬ শতাংশ, সব জমিন ২০০০ সালে মুলমালিকগং তিন জনে নিকট বিক্রিয় করে দেয়। বর্তমানে খরিদ কৃত মালিকগন তাদের নিজেদের নামে আলাদা আলাদা করে খতিয়ান করেন। ক্রয়কৃত এই তিনজন জমিনের মালিক হচ্ছে,  মোহাম্মদ শাহাজান পিতা মৃত-নুর মিয়া হাওলাদার সাং পশ্চিম দিঘলী খরিদ কৃত জমির পরিমান ৬.৫০ শতাংশ,খতিয়ান নং ৪৯৩৪ তাং১৩/২/২০০৮, ডিপি খতিয়ান নং-৭৬৫৫,  মো: খলিলুর রহমান পিতা-মৃত আনোয়ার উল্যা,মোসাম্মৎ রিয়াদ রেহান পতি খলিলুর রহমান,সাং পশ্চিম দিঘলী, জমির পরিমান ১৩ শতাংশ, খতিয়ান নং-৪৮৩৬,তাং-২/১২/২০০৭, ডিপি খতিয়ান নং-৩৩০৪,  এবং মোসাম্মৎ সেলিনা আক্তার পতি শহীদুল ইসলাম সাং পাঁচ পাড়া,জমির পরিমাণ ৬.৫০ শতাংশ, খতিয়ান নং ৪৭৪৬,তাং ৯/৯/২০০৭, ডিপি খতিয়ান নং-৬৫৬৭ ,  উক্ত ব্যক্তিগন জমিন খরিদ করিয়া ভোগদখল করে আসছে। তাহারা বাড়ি করার জন্য লক্ষ্মীপুর পৌরসভা থেকে ৮০৪৩ দাগে তিনজনকে সীমানা প্রাচীর ও পাঁচতলা আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
 ভুক্তভোগী শাহাজান ও বাবুল ভূইয়া জানান, এই সম্পত্তি আমার পিতা খরিদ করে খলিলুর রহমান ও শাহাজানসহ ৪ জনের কাছে বিক্রয় করে। বশির মাষ্টারের ছেলেরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জবরদখল করে নিয়েছে। কিছু দিন পরে একজনকে চাইনিজ ব্যবসা করার জন্য ভাড়া দিয়ে আয় করছে অবৈধ দখলদারা। এছাড়াও তারা আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা এই সম্পত্তি অবৈধ দখলদারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই এবং আমাদের নিরাপত্তা চাই।
এবিষয়ে পৌর ভূমি কর্মকর্তা আলী আহমদ জানান,  যে কাগজ দিয়ে জমা খারিজ করেছে, বর্তমানে আরএস (ছাপা) খতিয়ান ও অনলাইন হওয়ার কারণে পূর্বের সকল জালিয়াতি শেষ হয়েছে। এখন পূর্বের নামজারি দিয়ে কিছুই করিতে পারবে না।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ জানান, আগের জমাখারিজ অটোমেটিক বাদ হয়ে গিয়েছে,এখন আরএস (ছাপা) খতিয়ান দিয়ে চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি