সম্মেলনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত সড়কটি জেলার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার প্রধান সংযোগ সড়ক। প্রতিদিন এই পথে লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। একইসাথে এটি জেলা সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর উপজেলার কৃষিপণ্য, মাছ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রোগী পরিবহনের প্রধান সড়ক।
তবে এই সড়কের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, ট্রাকসহ ভারী যানবাহনের চাপে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। এতে প্রাণহানিও ঘটছে।
সরকারি অবহেলার কারণে এই সড়ক ছাড়া লক্ষ্মীপুরবাসীর চলাচলের আর কোনো বিকল্প সড়ক নেই। এমনকি নেই কোনো রেলপথ বা আকাশপথ। জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষের জন্য এটি একমাত্র ভরসা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২৬৬ কোটি টাকা। তবে এরপরও এখনো প্রকল্পটি অনুমোদন পায়নি।
গত ৩ বছরে এই সড়কে ৫৯ জন লোকের মৃত্যু এবং ৪০টি দূর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ।