মোহাম্মদ আবুল হাশেম বান্দরবান প্রতিনিধি:বান্দরবানের লামায় সম্প্রতি আদালতের জব্দের নির্দেশনা অমান্য করে জব্দকৃত গর্জন কাঠ বিক্রয় কাণ্ডে আলোচিত লামা থানা পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর চৌধুরী ও কিশোর গ্যাং লিডার মোজাম্মেল-শওকত গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর’২৫) বিকাল ৩টার দিকে লামা উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ফখরুজ্জামান বলেন, লামা থানার এসআই আলমগিরের সহায়তায় কিশোর গ্যাং লিডার মেরাখোলার মোজাম্মেল ও বহিরাগত শওকত আকবার সম্প্রতি গর্জন গাছ কাণ্ড নিয়ে মামলা বাণিজ্যে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এই গর্জন গাছের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই, আমাকে কেন এই মামলায় আসামী করা হলো?
একই অভিযোগ এনে মো. ফজর আলী বলেন, এই গাছ কাটা নিয়ে আমি কিছুই জানিনা, কিন্তু আমাকে করা হলো আসামী। আমি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সেই থেকে এই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে আমাকে। আমাদের জানামতে এসআই আলমগির পূর্বে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমি বিএনপি বলেই কি লীগের এই এসআই’র ব্যক্তিক আক্রোশের শিকার হচ্ছি!
গাছ কাটা মামলায় অভিযুক্ত আসামি মো. মাহাবুব বলেন, সেদিন দুই গাড়ি কাঠ থানায় আসার কথা থাকলেও একটি গাড়ি থানায় না নিয়ে করাতকলে নামানো হয়। আমি প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হবে বলে আমাকে হুমকি দিয়েছেন এসআই আলমগির।
মাহবুব আরো বলেন, মেরাখোলা এলাকা থেকে আদালতের নির্দেশে সব কাঠ জব্দের দায়িত্বে ছিলেন এসআই আলমগীর চৌধুরী। কিন্তু মামলার আলামত হিসেবে থাকা মোট ৬৩ টুকরা গর্জন কাঠের মধ্যে মাত্র ৩৯ টুকরো জব্দ দেখিয়ে বাকি ২৪ টুকরো কিশোর গ্যাং লিডার মোজাম্মেল-শওকতের যোগসাজশে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্বেও দায়সারা জাবাবের উপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কেন মাস্টারমাইন্ড কিশোর গ্যাং লিডার মোজাম্মেল ও বহিরাগত শওকতকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। এসব কেলেঙ্কারির নেপথ্যের হল নায়ক এসআই আলমগিরের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ চাই, না হয় বড় আন্দোলনের উদ্যোগ নেয়া হবে।