মোহাম্মদ আবুল হাশেম বান্দরবান প্রতিনিধি:বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ চক্র কাউকে তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ইউনিয়নের লাটের ঘাট ও ছাগল্লা ঝিরি এলাকার বাগাইছড়ি খালের ৮-১০ টি বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে তোলা হচ্ছে বালু। এতে করে খালের দু’পাড় ভেঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, পাহাড় ও বসতবাড়ি। ফাঁসিয়াখালির আওয়ামিলীগের কিছু প্রভাবশালী লোকজন এই পরিবেশ ধ্বংসের সাথে জড়িত বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, এখনো আওয়ামী লীগের দলীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন এই পরিবেশ ধ্বংসের সাথে জড়িত।
জানা যায়, লামা উপজেলায় ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মহরম আলী, ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়া, যুবলীগ নেতা আলা উদ্দিন, আব্দুস শক্কুর, রমজান আলী, আবুল হোসেন, জসিম ড্রাইভার, কালু সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী একাদিক ব্যক্তি বেপরোয়া বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই উপজেলায় সরকারিভাবে কোন বালু মহল নেই। কিন্তু থেমে নেই অবৈধ বালি উত্তোলন। ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের বাগাইছড়ি খাল থেকে স্যালো মেশিন দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন মামুন বলেন, আগে শুধু আওয়ামী লীগের লোকজন অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ছিল, আর এখন বিএনপি আওয়ামী লীগ মিলে এই অবৈধ বালু উত্তোলন করে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে কিছুদিন আগে বাগাইছড়ি থেকে ছাগল্লা ঝিরি এলাকায় যাতায়েত করার জন্য বাগাইছড়ি খালের উপর র্নিমিত বেইলী সেতু ভেঙ্গে কিছুই নাই। ফলে এখন সাধারন মানুষের যাতায়াতের খুব কষ্ট হচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলনে সাথে জড়িত আওয়ামিলীগ নেতা আব্দুস শুক্কুর বলেন, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করি। এখন আগের মত জমজমাট ব্যাবসা নাই।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ. দা.) রুপায়ন দেব বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্ঘম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে আমরা তাদের বিরুদ্বে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।