বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল গাজীপুর নামাজ গ্রামের পাশ্ববর্তি ইছামতি নদীর পাড়ের একটি বাঁশ বাগানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত নবজাতকের দত্তক নিল
ঢাকা উত্তরা সিটির কর্পোরেশন এর গুলশান
বাড্ডার নিঃসন্তান দম্পত্তি সানাউর ও সুমাইয়া।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ২০২৫) ১২জন নিঃসন্তান দম্পত্তির নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। শার্শা উপজেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে ৫সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি নবজাতক শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের সাক্ষাতকার গ্রহন করেন।
এরপর শার্শা উপজেলা প্রশাসন সানাউর রহমান ও সুমাইয়া নামে দম্পত্তির হাতে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার সাহা,সমাজসেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম,বিআরডিপি অফিসার সাকির হোসেন, নারী ও শিশু বিষয়ক অফিসার জাহান ই গুলশান ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলিম,
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ, দৈনিক লোকসমাজের শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি, সাংবাদিক সৈয়দ আতিকুজ্জামান রিমু,সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন আহামেদ, ইকরামুজ্জামান প্রমুখ
শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটির ভবিৎসতের জন্য শার্শা উপজেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর স্থানীয় পত্রিকায় উদ্ধারকৃত শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহী নিঃসন্তান ব্যাক্তিদের আবেদন করতে বলা হয়। সেই মোতাবেক আজ,১২ জন দম্পত্তি শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেখানে যাচাই বাছাই করে ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের শিপন ও সুমাইয়া দম্পত্তির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। তাদের বর্তমান ঠিকানা গুলশান, বাড্ডা ঢাকা উত্তরা সিটি কর্পোরেশন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশুটির দত্তক সানাউর রহমান ও সুমাইয়া জানান তার গত ১৫ বছর বিবাহ করেছে। তাদের আজও কোন সন্তান হয়নি। এজন্য পত্রিকায় খবর শুনে ছেলে শিশুটি নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তারা শিশুটিকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন বলে জানান। তারা বলেন এখন থেকে এ শিশুর বাবা ও মা আমরা দুজন। তারা শিশুটিকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের দোয়া কামনা করেছেন।