স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা টানা দুই দিনের লক ডাউনে আতংক সৃষ্টি করতে গোদনাইলের আওয়ামী সন্ত্রাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মামলার পলাতক আসামীরা মাথা চারা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে চিহ্নিত আওয়ামী দলীয় লোকজন এবং অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ডকে মেনে নিতে পারছেনা বিধায় বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা করছে এবং ইতিমধ্যে জেলেপাড়া পুল এলাকায় একটি ক্লাবে আগুনও দিয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম, কৃষক লীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সেক্রেটারী ইয়াসিন, গোদনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এমদাদ হোসেন, সহ-সভাপতি শাহজাহান, প্রচার সম্পাদক শহীদুল্লাহ, যুবলীগ নেতা সাইদুল, আজমির ওসমানের উকিল ছেলে মুরাদ, হুন্ডা বাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন দেলু, সানমুন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল মাদবর, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী রাজিব, সজিব, সাবেক এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী মহসিন ভূইয়া, বিদেশে পলাতক সাবেক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আক্তার হোসেন সহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নাশকতার পরিকল্পনায় গোদনাইলের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মহড়া দিচ্ছে বলে জানা গেছে। যেখানে বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার নাশকতা ঠেকাতে হার্ডলাইনে রয়েছে সেখানে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে জোটবদ্ধ হয়েছে ওসমান পরিবারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। যে কোন সময় বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় এবং স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতার ছত্র ছায়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো এলাকায় আরামে ঘুমাচ্ছে। যদিও বৈষম্যবিরোধী কয়েকটি মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারপরও থেমে নেই তাদের অরাজকতা। বর্তমানে নাশকতাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও র্যাবের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।