মাগুরা জেলা প্রতিনিধি: মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরচৌগাছি ঘষিয়াল জামে মসজিদের নামে দানকৃত জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছে না এলাকার বিশিষ্ঠ সুদে ব্যবসায়ি আব্দুর রহমান। এই রহমানে সাথে কিছু কৃষক ও যুবলীগ শহর আলী শামসুসহ আরো অনেকে লিড দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। সরেজমিন গিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বিশ্বাস বিগত ২৫ বছর যাবত বহুবার সুধু রহমান কে বলেছেন জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে কিন্তু উনি বিভিন্ন তাল বাহানা দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি।ঈদগাহ ও গোরস্থান কমিটির ফরহাদ হোসেন জিয়া ওর্য়াড মেম্বার শরিফুল ইসলাম সাফু বিএনপির ওর্য়াড সভাপতি সালাম মিয়া সহ এলাকার শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে জানা যায়, উক্ত ঘষিয়াল গ্রামের সুদে ব্যবসায়ি রহমানের কাছ থেকে একই গ্রামের মৃত আকবর আলীর স্ত্রী বিধবা মাজেদা বেগম ( রেবেকার মা) ৫০ নং ঘষিয়াল মৌজার ৩৩১ নং দাগের ০৩ শতক জমি নগদ ৯০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন।
কিন্তু অর্থের অভাব ও জমি বিক্রেতার গড়িমসিতে রেজিষ্ট্রি করতে পারেননি। ২০১৮ সালে বিধাব মাজেদা বেগম (রেবেকার মা) সরকারে কাছ থেকে দুই রুম বিশিষ্ঠ একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পান। তার এই বসত বাড়িতেই ২০২৫ সালে মাজেদা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে পরলে তার কোন সন্তানাদী না থাকায় তিনি এলাকা বাসিকে ডেকে তার এই জমি ও ঘরটি তার মৃত্যুর পর মৌখিক ভাবে মসজিদ ও মাদ্রাসায় ওসিয়ত করেন। ওসিয়তের পরপরই ২০২৫ সালের আগস্ট মাসের ৩ তারিখে বিধবা মাজেদা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। বিধবার নামাজে জানাজায় রহমানকে জমিটা বিক্রয়ের বিষয়ে এলাকাবাসি জিজ্ঞেস করলে তিনি বিক্রয়ের কথা এবং ওসিয়াত অনুযায়ি জমি রেজিষ্ট্র করে দিবেন মর্মে স্বীকার করেন। বিষয়টি ফয়সালার জন্য এলাকাবাসি এই সুদখোর রহমানকে রেজিষ্ট্রি করে দিবার কথা বললে তিনি তা না দিয়ে বিভিন্ন আজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে সুদখোর রহমানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি মিডিয়ার নিকট কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে দৌড়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।