লিয়াকত হোসাইন:নিউরো সাইন্স হাসপাতালে এক অসহায় পরিস্থিতিতে যখন কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখনই আশার আলো হয়ে এগিয়ে আসেন মতলবের কৃতী সন্তান ও সহকারী অধ্যাপক ডাঃ বশির আহমেদ খান (Hridoy Khan)। মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেন।
বড় হলদিয়া, নাউরী বাজার, মতলব উত্তর, চাঁদপুরের বাসিন্দা পারুল বেগম (৫০) হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবার দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছায়। কিন্তু ভর্তি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরে পরিবারটি মতলবের এই কৃতী চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হলে ঘটনাটি জানতে পেরে ডাঃ বশির আহমেদ খান কোনো দ্বিধা ছাড়াই নিজের চেম্বার থেকে বের হয়ে রোগীকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, ভর্তি হওয়ার পর প্রতিদিন তিনি ফোনে রোগীর খোঁজ নিয়েছেন এবং নিজে উপস্থিত থেকে চিকিৎসার সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। চিকিৎসকের এমন আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ ও মানবিক আচরণ তাঁদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।
রোগীর এক স্বজন আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন,
“আমরা মতলববাসী সত্যিই ভাগ্যবান যে ডাঃ বশির আহমেদ খানের মতো উদার ও হৃদয়বান একজন মানুষকে পেয়েছি। স্যারের এই উপকার কোনোদিন ভুলবার নয়। আমরা তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।”
মানবিক সেবায় এগিয়ে এসে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন—পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি মানবতার প্রতি অটল প্রতিশ্রুতিই একজন প্রকৃত চিকিৎসকের পরিচয়।