মাটি মামুন রংপুর। এই প্রশ্নের উত্তরটা একুশ শতকের শুরুর দিকে ছিলো এক রকম, আর আজ বিশ বছর পরে আপডেট হয়ে হয়ে গেছে আরেক রকম’ আর তা হলো- আগে ছিলো তিন প্রকার সাংবাদিক যেমন- ১ প্রকৃত সাংবাদিক,২ অপ-সাংবাদিক, ৩ সাইনবোর্ড সাংবাদিক, আর এখন আপডেট হয়ে যোগ হয়েছে ফেসবুক সাম্বাদিক বা ফেসবুক লাইভ সাম্বাদিক ও অনলাইন সাংবাদিক। মোট পাঁচ প্রকারের সাংবাদিক এখন আমরা চারপাশে দেখতে পাই। ১ প্রকৃত সাংবাদিক। প্রকৃত সাংবাদিক হচ্ছেন তিনি! যিনি দীর্ঘদিন সংবাদ সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত থেকে তার জন্য সর্বদা নিরলস ভাবে সংবাদ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট বার্তা বিভাগে তা প্রেরণ করেন। যার সংবাদে সমাজের নির্যাতিত- নিষ্পেষিত অসহায় দরিদ্র মানুষের আহাজারি প্রকাশ পায়’ যার সংবাদে সমাজে ঘাপটি মেরে বসে থাকা মুখোশদারীর কালো মুখোশ উন্মোচিত হয় তিনিই প্রকৃত সাংবাদিক। ২ অপ-সাংবাদিক। অপ-সাংবাদিক হচ্ছেন তিনি যিনি সমাজের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দোষত্রুটি দেখেও না দেখার ভান করেন, সর্বদা তোষামোদ বা চামচামি (তৈল মর্দন) করতে ব্যাস্ত থাকেন। নির্যাতিত নিষ্পেষিত মানবতার চিৎকারের বিলাপ কানে পৌছলেও যিনি তুলা দিয়ে কান বন্ধ করে রাখেন- সাদাকে কালো আর কালো-কে সাদা বলে যিনি লিখেন তিনিই অপ-সাংবাদিক। ৩ সাইনবোর্ড সাংবাদিক। দু’চার দিন কোনো বড় সাংবাদিক বা কোনো সংবাদ সংস্থায় কাজ করেই বাড়ির সামনে বা গাড়ির সামনে-পেছনে সাইনবোর্ড টানিয়ে ঘোষণা দিচ্ছেন তিনি সাংবাদিক। আসলে তিনিই সাইনবোর্ড সাংবাদিক। ৪ ফেসবুক বা ফেসবুক। লাইভ সাম্বাদিক ফেসবুকে একটি পেজ খুলেই প্রিয় ভিউয়ার্স আপনারা দেখছেন বেতবেতা টেলিভিশন, সাথে আছি আমি আকাশ চৌধুরী বাতাস বেগম আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার সামনে একটি গাজর- ব্লা ব্লা ব্লা…এই হচ্ছে ফেসবুক বা ফেসবুক লাইভ সাম্বাদিক। ৫ অনলাইন সাংবাদিক। নামমাত্র দামে একটি ডোমেইন আর হোস্টিং কিনেই আমি সম্পাদক, তুমি প্রকাশক, হযবরল হেডিং আগামাথা নাই বিস্তারিত নিউজের। গলে মোর কলঙ্কের মালা কেউ ভালোবাসেনা যেমন,অনলাইন সাংবাদিকও তেমন গলায় তাবিজের মতো অনেকগুলো অনলাইন পোর্টালের কার্ড ঝুলিয়ে রাখে, মনে মনে সে কতো বড় সাংবাদিক,বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের লোকজনের কাছে এর জন্য লজ্জা পেলেও যার লজ্জা লাগেনা, শরম লাগেনা তিনিই অনলাইন সাংবাদিক। আসুন আমরা সচেতন হই এবং প্রকৃত সাংবাদিক দের সহায়তা করি। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে কাউকে ছোট বা তাচ্ছিল্য করত নয়।