 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    বাউফল( পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে পটুয়াখালীর বাউফল সাংবাদিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডকে একটি নির্মম ও পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দোষীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। প্রথম আলো পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি এ বিএম মিজানুর রহমান বলেন,”সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, কিন্তু আজ এই পেশার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে হুমকি ও ভয়ভীতির কালো ছায়া।
তুহিন হত্যাকাণ্ড শুধু একজন সাংবাদিককে হত্যা নয়, এটি সমস্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হত্যার চেষ্টা। আমরা চাই, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি ও বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,”সাংবাদিকদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিচার না হলে কোনো সাংবাদিকই নিরাপদ নয়। সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবশ্যই এই মামলায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে”। আমার দেশ পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সভাপতি জলিলুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের আয়না। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
তুহিন হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটবে। আমরা চাই, অতিদ্রুত হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হোক। মানববন্ধনে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি জাফরান আল হারুন বলেন তুহিন হত্যার সন্ত্রাসীদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন গাজীপুরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার একদল সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি স্থানীয় অপরাধী চক্র ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, যা তার হত্যার পেছনে মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড সারা দেশে সাংবাদিক সমাজকে নাড়া দিয়েছে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
তুহিন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ আইন প্রণয়ন করতে হবে। সাংবাদিক হত্যার সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার ও প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। বাউফলের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, যদি তাদের দাবি অনুযায়ী দ্রুত বিচার না হয়, তাহলে তারা আরও বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন। আগামী সপ্তাহে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকাণ্ড শুধু স্থানীয় পর্যায়ে নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা নাহলে সাংবাদিকতা পেশা আরও অনিরাপদ হয়ে উঠবে, যা গণতন্ত্র ও মুক্ত মত প্রকাশের জন্য হুমকিস্বরূপ।