খুলনা জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা তালা উপজেলা এলাকার জিয়ালা নলতা নিকারীপাড়া আমানিয়া জামে মসজিদের সাবেক ইমাম মাওঃ আবু সাইদ। তার গ্রামের বাড়ি চৌকুনি সাতহালিয়া, কয়রা খুলনা। এই আবু সাইদ (ভন্ড কবিরাজ) ছোট বড় সকল মহিলাদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার কথা শুনে ঝাড়ফুক পানি পড়া দিয়ে থাকে। ধর্মীয় ভালো একটা সেবা,সেই সেবাকে নিজের দৈহিক চাহিদায় রপান্তরিত করছে তিনি। সম্প্রতি তালা এলাকায় একটি বাড়িতে গিয়ে সাবালিকা মেয়ের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে গিয়ে তার ঈমামতি চাকুরি হারিয়েছেন। এলাকায় জানাজানি হলে মসজিদ কমিটি তাকে চাকুরি থেকে বাদ দেন। তার এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য কপিলমণি এক মহিলার বাড়িতে গিয়ে মহিলার স্বামীর জন্য তদবির নেবে বললে, জোরপুর্বক ঐ মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটকে রাখে। এক পর্যয়ে তার পরিবারের লোক এসে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে এই আবু সাইদকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।বর্তমানে এই ভন্ড হুজুর আবু সাইদ কয়রা থেকে খুলনায় প্রতি সপ্তাহের ২/৩ দিন একটি ডাক্তারের চেম্বারে বসেন। এক কথায় মহিলাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একেকবার ২০/৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তাছাড়া মা বোনের ইজ্জতে হাত দেন। এলাকায় ভন্ডামি ব্যবসা একটু খারাপ হওয়ার কারণে তিনি খুলনা ২/৩ জন গ্রেড দালানের মাধ্যমে রোগী জোগাড় করে থাকে। সেক্ষেত্রে ভণ্ডামি করে যে টাকা আয় হয় তার ৬০ ভাগ নেয় ভন্ড কবিরাজ ও বাকি ৪০ ভাগ নেন ঐ সকল দালানেরা। তিনি রোগী দেখেন বাচ্চা হয়না,বাচ্চা তৈরি করে দেবে,বিবাহ হচ্ছে না,তার ব্যবস্হা করে দেবে। সংসারে অশান্তি,সেটা এনে দেবে। যৌন ক্ষমতা কম,সেটা বৃদ্ধি করে দেবে। ইত্যাদি ইত্যাদি নানান ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সহজ সরল মহিলাদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা এবং তাদের গায়ে হাত দিয়ে তদবির দিচ্ছেন। তথ্য অনুসন্ধানে তার বাড়ি কয়রা এলাকায় গিয়ে জানতে পারা যায়,এই ভন্ড সাইদের চরিত্র এরকম বহু আগে থেকে।এরকম ভন্ড প্রতারক বদমাইশ হুজুর নিয়ে এলাকা বাসি বিপাকে। সাধারণ মহিলারা বলছে কাকে বিশ্বাস করবো ধর্মের নাম ভাঙ্গায় ঝাড়ফুক করার কথা বলে মা বোনদের গায়ে হাত দেয়,এখানেই শেষ নয় ধর্মীয় ভাবে তদবিরের নামে মহিলাদের নগ্ন করে তেল-পানি মালিশ করার নামে দৈহিক চাহিদা মেটানোর কাজে লিপ্ত হন। এলাকায় বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের কাছে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন,সে একটা ভন্ড প্রতাক। তিনি এলাকায় অপকর্মের জন্য ৩/৪ বার রশিটানা খেয়েছে। এখন খবর পেয়েছি সে নাকি খুলনা নতুন রাস্তা মোড়ে রোগী দেখতে শুরু করেছে। ঐ ভন্ড কবিরাজকে ধরে আপনারা পুলিশে দেন। সার্বিক বিষয় কবিরাজ আবু সাইদের কাছে ফোন করলে তিনি রিছিপ করেননি।