১৭ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ সানাউল্লাহ বেপারী।মোবারকপুর এলাকার গাজী আওলাদ হোসেন বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তাকে সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন কথা বার্তা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবারকপুর এলাকার গাজী আওলাদ হোসেন তার নিজ বাড়িতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষদের নিয়ে উঠান বৈঠক করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সানাউল্লাহ বেপারীর বিষয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক দিক তুলে ধরেন। এ বিষয়ে গাজী আওলাদ হোসেন বলেন,আমার সাথে সানাউল্লাহ বেপারীর কোন সময় কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদ মামলা মকর্দমা হয়নি।আমরা সুন্দরভাবে অত্র এলাকায় বসবাস করে আসতেছি।কিন্তু দুঃখের বিষয় গত কয়েক মাস আগে আমি আমার এলাকায় ড্রেজারের মাধ্যমে কিছু বালু ভরাটের কাজ করতেছি।ওই সময় সানাউল্লাহ বেপারি আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।চাঁদা না দেওয়াই আমার প্রায় ৩০ টি প্লাস্টিকের পাইপ ভেঙে চুরমার করে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেই সময় সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি এবং সেও আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকায় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আল- আমিন সরকার ও বর্তমান এমপি আব্দুল আল কায়সার হাসনাত এর সুষ্ঠু সমাধান করে দিয়ে যান। তারপর থেকে আমাদের সাথে কোন ধরনের ঝামেলা আর হয়নি। এ বিষয়ে সানাউল্লাহ আমাকে কিছু করতে না পারায় ক্ষোভের কারণে সে রমজান মাসে নদীর পাশে রাখা আমারএকটি ড্রেজারে রাত বারোটার সময় সানাউল্লাহ বেপারী লোকজন নিয়ে হামলা করলে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হইলে সানাউল্লার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এর একটি ভিডিও ধারণ করি। খবর পেয়ে সেখানে বতর্মান মেম্বার গাজী আবুল হোসেন গিয়ে সানাউল্লাহকে মাফ চাইয়ে জনগণের কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।ওই সময় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে কিছু চর থাপ্পড় মেরে ফেলে এবং সেখানেও মেম্বার সাহেব এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য মীমাংসা করে দেন।কিন্তু সেএই ক্ষোভে ও লজ্জায় গাজী আওলাদের বিরুদ্ধে তার অপকর্ম ডাকার জন্য সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। কিন্তু সানাউল্লাহ বেপারী মেম্বারের কথা অগ্রাহ্য করে ঈদের চার পাঁচ দিন পরে সংবাদ সম্মেলন করেন কাজী আওলাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে। পরদিন গাজী আওলাদ হোসেন আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হইলে মেম্বার বাধা দিয়ে তা বন্ধ করে দেন। এলাকার মেম্বার বাধা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি নাই। মেম্বার বলছিলেন, সানাউল্লাহ একটি পাগল, সে ছোট ভাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে কোন লাভ নাই, তুমি এই পর্যন্ত এই সীমাবদ্ধ থাকো আমরা ব্যাপারটা দেখতেছি। এ ব্যাপারে গাজী আওলাদ হোসেন সানাউল্লাহ বেপারীর অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি বলতে বাধ্য হলেন,সানাউল্লাহ বেপারীর আপন চাচা আব্দুল সাত্তার সাহেব এর জায়গা জমি এমপি খোকার মাধ্যমে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সে তার জায়গা আত্মসাৎ করে নেন এবং এলাকার বিভিন্ন মানুষদেরকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হুমকি- ধামকি দিয়ে দাবিয়ে রাখেন। মুখোশধারী স্বেচ্ছাসেবক এর টিম লিডার মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত।সে এমন কোন অপকর্ম কাজ নাই এলাকায় করে নাই। শুধু সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ক্ষমতায় এ পর্যন্ত চলে আসছে।তার অপকর্ম আরো বের হবে আপনারা জানতে পারবেন। সে এলাকার একটি ব্যাধি।