সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ট পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ২০২৪ এর পুরস্কার বিতরনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ট পর্যায় হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পালের সভাপতিত্বে ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক রবীন আচার্য্যর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ যোগেশ্বর দাস, সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রণ্টের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু অশোক তালুকদার, সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় দূর্গাবাড়ি পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী ও সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, ঘোষ তালুকদার, সাংসাদিক দিপংঙ্কর বণিক ও রাসেল আহমেদ প্রমুখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রণ্টের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বাবু অশোক তালুকদার বলেছেন ২০০২ সালে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে তার নির্দেশে তৎকালীন প্রয়াত পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর মাধ্যমে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে সারাদেশে মন্দির ভিত্তিক স্কুল পচিালনার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ফলে দীর্ঘ ২৩ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠছেন, এটাই হলো সাম্প্রদায়িতক সম্প্রীতির বাংলাদেশের মূলমন্ত্র।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল বলেছেন হাওরের জেলায় সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের জন্য মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার যে কার্যক্রম শুরু করেছেন তা প্রশংসার দাবী রাখে। কাজেই যারা শিক্ষক রয়েছেন এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যে ধর্মীয় সুশিক্ষাটা দিবেন সেই শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠবে, তাদের জাগ্রত বিবেকে ধর্মীয় মূল্যবোধে স্থান পাবে, এই সমস্ত শিক্ষার্থীরা একদিন বড় হয়ে ছোটকালের ধর্মীয় শিক্ষাটাকে অনুশীলন ও অনুকরণ করে দেশপ্রেমে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করবে। তিনি আরো বলেন সবাইকে দেশপ্রেমে উজ্জীতি হয়ে এই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশটাকে সবাই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে গড়ে তুলতে পারলে তখনই এই আত্মত্যাগকারী সকল বীর শহীদরা তাদের আত্মবলিদানের সুফল বাংলার সর্বস্তরের জনসাধারন পাবেন। পরে অতিথিরা ১২টি উপজেলার ৫জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও ১০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।