সাইফুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা। আওয়ামী ক্ষমতার কাছে যখন বিএনপি নেতারা মুখ খোলার সাহস পায়নি ঠিক সেসময়েও রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দেখা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মধুকে।
নিজের পরিবারকে বিষরজন দিয়ে বিএনপির কার্যক্রম চালিয়ে যেতেন মোস্তাফিজুর রহমান মধু। দলটির দুর্দিনে রাজপথে থাকায় একাধিক মামলায় জেল ও হাজত খাটতে হয়েছে, তারপরেও দলের হাল ছাড়েননি মোস্তাফিজুর রহমান মধু। বিএনপির বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করলেই রুখে দাঁড়াতো এই নেতা। আসতে আসতে ইউনিয়নবাসী ভাবতে থেকে মোস্তাফিজুর রহমান মধু, পাগল হয়েছে। একপর্যায়ে ইউনিয়নবাসী বিএনপির পাগলা মধু নামে ব্যাপক পরিচিত হয়ে ওঠেন।
ধোপাডাঙ্গার শিশু থেকে বৃদ্ধা, সকল বয়সের মানুষের মুখেমুখে একটাই কথা, জাতীয়তাবাদী বিএনপি কখনো ক্ষমতায় আসার উপক্রম হলে মোস্তাফিজুর রহমান মধু হবেন দলটির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক বা সভাপতি। জুলুম অত্যাচারী আওয়ামী ক্ষমতার পতন হলে, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু করেন। গত ০২/০৩/২০২৫ তারিখে উপজেলা বিএনপি ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দেন। অনুমোদন হওয়া আহবায়ক কমিটিতে কারানির্যাতিত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মধুকে সদস্য সচিব বা আহবায়ক পদ না দিয়ে যুগ্ন আহবায়কের পদ দিয়ে কমিটি প্রকাশ করেন।
আহবায়ক কমিটি প্রকাশের পর থেকে ধোপাডাঙ্গার সাধারণ জনতাদের মাঝে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ফ্যাসিস আওয়ামী ক্ষমতার কাছে মাথানত না করে একাধিক মামলা হাঁসি মুখে গ্রহণ করেন মোস্তাফিজুর রহমান মধু। দলের দুর্দিনে যে সকল নেতার বিরুদ্ধে মামলা হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়নি সেই নেতাদের দেয়া হয়েছে দলের বড় পদ। ১৬ বছর পর সৈরাশাসকের পতন হলেও দলের ত্যাগী নেতারা এখন মুল্যহীন পয়ে পড়েছে, দলের দুর্দিনে আওয়ামী সুফলভোগী নেতাদের কাছে।
দলের নির্যাতিত নেতাদের বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছু সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বিএনপিতে ত্যাগী নেতার মুল্য নেই, উপজেলা ও জেলা কমিটির পোস্টের নেতাদের বন্ধু হলেই মিলছে ইউনিয়ন কমিটির বড় পদ।
এব্যাপারে সাহসী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মধুর সাথে গণমাধ্যম কর্মীর কথা হলে, তিনি জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্র নায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান ও বর্তমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য কোন নেতার আনুগত্য করিনা। দলের সুফল ফেরাতে গাইবান্ধা জেলায় যত নেতা নির্যাতিত হয়েছে তার মধ্যে তিনিও একজন। তিনি আরো জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাফিজুর রহমান মধুর থেকে কেউ জেল জুলুমে হয়রানি হয়নি।
তিনি বিশ্বাস করেন, কিছু নেতা বিশ্বাসঘাতকতা করলেও দল কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনা। সেই ধৈর্য নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে তাকিয়ে আছেন ত্যাগী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মধু। অন্য দিকে সুধী সমাজের অভিমত আওয়ামী ক্ষমতার কাছে মাথা নত করা নেতাদের আহবায়ক কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলে, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান মধুর কোন বিকল্প নেই।