1. [email protected] : b.m. altajimul : b.m. altajimul
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : Nazrul Islam : Nazrul Islam
  4. [email protected] : Md Salim Reja : Md Salim Reja
  5. [email protected] : Kamrul islam rimon : Kamrul islam rimon
  6. [email protected] : Torik Hossain Bappy : Torik Hossain Bappy
সোনালী অতীত থেকে বিতর্কিত ছাত্রলীগ, নেপথ্যে কী? - শিক্ষা তথ্য
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমতলীতে বউয়ের অত্যাচারে শিক্ষকের আত্মহত্যা কাশীপুরে মধ্য নরসিংপুর নদীর পাড় যুব সমাজের উদ্যোগে ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত কুয়াকাটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ভূমিদস্যু জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ মিছিল গাজী লাশের রাজনীতি করেছে, আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করবো- দিপু ভুঁইয়া ফতুল্লা মাদক সম্রাট ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আক্তার বেপরোয়া বন্দরে শিক্ষকদের গালমন্দ ঘটনায় প্রতিবাদ করার জের ধরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলের বসত বাড়িতে হামলা আহত-৩ হোমনায় চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের আসামী আক্তার আটক আমনের বীজতলা নষ্ট চারা-সংকটে দিশেহারা চাষিরা

সোনালী অতীত থেকে বিতর্কিত ছাত্রলীগ, নেপথ্যে কী?

সংবাদদাতা :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৭ বার দেখা হয়েছে

শিক্ষা তথ্য: বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের প্রতিটি ন্যায্য আন্দোলন সংগ্রামে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এ সংগঠনটির নাম। স্বাধীনতার পূর্বে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে সামনে থেকে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্বে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন ছাত্র সমাজ তথা দেশের ছাত্র সমাজ এ সংগঠনটিকে আপন করে নিয়েছিলো নিজেদের মতো করে। কেননা এই সংগঠনটি ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলতো। ছাত্রদের প্রতিটি ন্যায্য দাবিতে সঙ্গ দেয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’

১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এগিয়ে গিয়েছে স্বমহিমায়। ৭৫’র ১৫ আগস্ট ঘটে দেশের ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনা। স্বপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশে বিক্ষোভ মিছিল করা ছিলো রূপকথা গল্পের মতো। কিন্তু সেই সময় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সব বাধাকে উপেক্ষা করে দাঁড়িয়েছিলো প্রতিবাদী হয়ে। যা নিয়ে এখনো গর্ব করে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন অনেক প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা।

১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর দেশের ছাত্র রাজনীতিতে হয় এক নতুন মেরূকরণ। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পরপরই ছাত্র সংগঠনকে রাজনৈতিক সংগঠনের অঙ্গ সংগঠন করার নতুন এক ধারা চালু করেন। ছাত্রলীগও এ ধারার তাল ধরে যুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে।’

এরপর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে এক নতুন যুগের দ্বার উন্মোচিত হয় ছাত্রলীগে। এসময় মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ছাত্রলীগ যেনো আবার ফিরে আসে। তারা সোচ্চার হয়ে দেশের ছাত্রসমাজকে জাগ্রত করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে দেশ জুড়ে। বলা বাহুল্য ৯০’র স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিলো অনন্য। এরপর ২০০৭ সালে এক এগারোর অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক সরকারের পতনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

কিন্তু ছাত্রলীগের এইসব অর্জন এখন যেনো কালের বিবর্তনে ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। এক সময়ের উজ্জ্বল ছাত্রলীগ যারা ছাত্রসমাজের কাছে অনুপ্রেরণার ছিলো তারা এখন ক্রমশ: অজনপ্রিয় এবং ঘৃণার নাম হয়ে দাড়িয়েছে। এর কারণ কি? এমনটি তো হওয়ার কথা ছিলো না। যে দলটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে লালন করে সেই দলটি কেন আজ নিজেকে হারিয়ে ধুকছে? এ প্রশ্নগুলো যেনো প্রতিটি প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতার কাছে এক বিস্ময়ের বিষয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মূল রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায়। এ দীর্ঘ সময়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ছাত্রলীগের গড়ে উঠেছে একক আধিপত্য। হলগুলো থেকে শুরু করে সর্বত্রই ছাত্রলীগের জয় জয় কার। কিন্তু তারপরও কোথায় যেনো রয়েছে ঘাটতি। কোথায় যেনো আছে শঙ্কা। ছাত্রলীগের বর্তমান এই আধিপত্য কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন জয় করে তৈরি হয়েছে? নাকি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে? এই দু’টি প্রশ্নের উত্তর মিলে গত দুই দিনে ঘটে যাওয়া কোটা আন্দোলনেই।’

গত কয়েক দিন থেকেই দেশ জুড়ে চলছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন। এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের লাখো শিক্ষার্থী। এই আন্দোলনটি কতটুকু যৌক্তিক আর কতটুকু অযৌক্তিক তার বিচার করার দায়িত্ব দেশের সাধারণ জনগণের, দেশের আইন ব্যবস্থার। কিন্তু এ আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের এই ‘ব্যাক ফুট’ অবস্থান ২০০৮ সালের পর আর কখনও হয়েছে বলে মনে হয় না। ইতোমধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ও ক্যাম্পাস ছাড়া ছাত্রলীগ। এখন প্রশ্ন হলো ছাত্রলীগের এই পরিণতির পিছনের কারণ কি’?

একটু পিছনে ফিরলেই আমরা এই কারণগুলো খুব সহজেই দেখতে পাই। ২০১৮ সালে বুয়েটে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে। সেই সময় বেশ সমালোচিত হতে হয়েছে ছাত্রলীগকে। তবে এগুলো ছাড়াও বেশ কিছু কারণ রয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য। আসুন সেই কারণগুলো একটু খতিয়ে দেখা যাক।’

১) গ্রুপিং:

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে ছাত্রলীগে গ্রুপিং বেড়েছে কয়েকগুণ। আর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ এই গ্রুপিং বা কোন্দল ছাত্রলীগের আজকের পরিণতির জন্য অন্যতম একটি কারণ। ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটেই এ গ্রুপিং এখন ওপেন সিক্রেট। ছাত্রলীগের প্রতিটি গ্রুপই নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের জোর করে মিছিল মিটিং কিংবা রাজনৈতিক সভায় নিয়ে যায়। এতে করে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও নিজ নিজ গ্রুপকে শক্তিশালী করতে প্রটোকলের যে রাজনৈতিক ধারা ছাত্রলীগে শুরু হয়েছে তাতে নেতাদের প্রতি তীব্র অসন্তোষ রয়েছে কর্মীদের মাঝেও।

২) অনুপ্রবেশকারী:

ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তা কমার পিছনে আরেকটি মহা গুরুত্বপূর্ণ দিক অনুপ্রবেশকারীরা। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিভিন্ন মতাদর্শের লোক বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করছে। এরা আদৌতে নিজেদের ছাত্রলীগ বলে দাবি করলেও এরা আসলে মুখোশধারী। তাই যেকোন সংকট আসলেই এদের পল্টিবাজী দেখা যায়। ইদানিং কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করেও ছাত্রলীগের অনেক পদধারীর পদত্যাগের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ‘রাজাকার’ স্লোগান দিয়ে নিজেদের স্বরূপ চিনিয়ে গেছে।

৩) বিতর্কিতদের পদায়ন:

ছাত্রলীগে বর্তমানে অনেক বিতর্কিতদের পদ দেয়ার বিষয়টিও খেন বেশ লক্ষণীয়। ৮০’র দশকের পূর্বে যেমন কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রলীগে পদ নির্ধারণ করা হতো। সেখানে বর্তমানে সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে অনেক বিতর্কিতরা পদ পাচ্ছেন। চাঁদাবাজ, ধর্ষণে অভিযুক্তরা পদে বসে ছাত্রলীগকে শুধু বিতর্কিতই করছে না কলঙ্কিতও করছে।’

৪) গণমাধ্যম:

ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তা কমার পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকাও কম যায় না। গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিনিয়ত ছাত্রলীগের নেতিবাচক খবর গুলো ফলাও করে প্রচার করার মাধ্যমেও এ জনপ্রিয়তা হ্রাসের আরেকটি কারণ।

এসব ছাড়াও ছাত্রলীগের গুটি কয়েক নেতা-কর্মীর ক্ষমতার দম্ভ, ঔদ্ধত্য পূর্ণ আচরণ, শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করা জনপ্রিয়তা হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২৮
  • ১২:০০
  • ৪:২৬
  • ৬:১৬
  • ৭:৩১
  • ৫:৪১
শিক্ষা তথ্য পত্রিকার কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি