শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ ছবি সংযুক্ত মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ্ (৬০)। পরিবারকে সুখে রাখতে, সন্তানদের জীবনে আলো ফেরাতে পাড়ি দিয়েছিলো সৌদি আরব। জীবনে প্রায় ৩৫ বছর কাটিয়েছেন প্রবাসে। সৌদি আরবে তিনি ড্রাইভিংয়ের কাজ করতেন। প্রবাসে থাকাকালীন একযুগের বেশী সময় ধরে তিনি হৃদরোগে ভোগছিলেন। কয়েকটি রিং বসানো হয় তার হার্টে। এরপরও সংসারের কথা ভেবে প্রবাসে জীবনে শেষ সময় পর্যন্ত কর্মস্থলে লড়ে ছিলেন তিনি। পরিবারের সুখ দেখার আগেই পরপারে ডাক এলো তার। মুঠোফোনে তার মৃত্যুর একটি বার্তা মুহূর্তেই সব স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেল পরিবারের। দিনটা ছিল সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ইংরেজী। এদিন বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় সৌদি আরবে স্ট্রোকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। শহিদ উল্লাহর মৃত্যুর খবরটা পৌঁছে যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদি রংগিয়াঘোনা গ্রামে। মৃত্যুর খবরে পাঁজর ভাঙা আর্তনাদে ভারি হয় রংগিয়াঘোনা গ্রামে তার পরিবারের চারপাশের পরিবেশ। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) তিনি দেশে ফিরছেন। পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি শহিদ উল্লাহ্’র বিদেশ ফেরা হাস্যজ্জ্বল চেহারা নয় এটি, তার সন্তানদের দিনের পর দিন অপেক্ষা ছিল শুধুমাত্র একটি হীম শীতল কফিনের। অবশেষে ৪৭দিন পর নিথর দেহ শীতল কফিনে মোড়া শহিদ উল্লাহ্ ফিরছে নিজের গ্রামে। মো. শহিদ উল্লাহ্ বাঁশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলদি রংগিয়াঘোনা গ্রামের মৃত আলী হোসেনের পুত্র। মৃত শহিদ উল্লাহর ভাগিনা রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ জানান, ‘মৃত্যুর দীর্ঘ ৪৭ দিন পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আজ শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টায় (এসভি ৩৮০৮) ফ্লাইটে সৌদিয়া কার্গো বিমানে তার মরদেহ পৌঁছায় ঢাকা শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। বিমান বন্দর থেকে বিকেল ৩টায় আমরা খালুর কফিন বুঝে নিই। বিমান বন্দর থেকে আমরা লাশবাহী গাড়িতে রওয়ানা দিয়েছি। বাঁশখালী পৌছাতে আজ রাত ১১টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।’ আগামীকাল, শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টার সময় বাঁশখালী পৌরসভাস্থ দক্ষিণ জলদি রংগিয়াঘোনা মনছুরিয়া ফাযিল মাদরাসার মাঠে তার জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে মরহুমের মরদেহ তার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।