বন্দর প্রতিনিধি: ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি রফিক মিয়াকে আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যা দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করার অভিযোগ তোলেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি জানান প্রতিপক্ষ ময়না, সোহেল, মাসুম ও স¤্রাটদের জায়গা নিয়ে বিরোধ কিন্তু আমাকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। রফিক মিয়া ধানগড় ইউনিয়নের সেনেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার ময়না এবং প্রতিপক্ষ সোহেল, মাসুম ও সম্রাটদের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ময়না সম্পর্কে আমার জেঠাতো বোন। সে ১৬ বছর আগে জায়গাটি ক্রয় করেছে। শুনেছি দলিলে নাকি ভুল হয়েছে। ময়না যাদের নামে অভিযোগ করেছে, তারাও তার নিকট আত্মীয়। সোহেলদের থাকার ঘরের সমস্যা, তাই তারা নতুন ঘরের কাজ ধরবে, আপাতত থাকার জন্য ময়নার জায়গায় একচালা ঘর করতে চেয়েছে, সোহেলদের ঘরটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তারা অস্থায়ী ঘরটি সরিয়ে নিয়ে যাবে। উভয় পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছে। পরের দিন জানতে পারলাম ময়না তাদের নামে বন্দর থানায় অভিযোগ করেছে।
সে প্রেক্ষিতে বন্দর থানার এ.এস.আই অমিত সাহেব আসে এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে আমার অফিসেই বসি। দুপক্ষের কথা শোনার পর তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় বসার পরামর্শ দেই। কিন্তু পরদিন লোক মারফত জানতে পারলাম ১টি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে খবর ছাপা হয়েছে। পত্রিকাটি হাতে নিয়ে পড়ে দেখলাম, সেখানে লিখা আছে, আমি নাকি আওয়ামী লীগের দোসর ও সন্ত্রাসী এবং আমি নাকি বিবাদীদের শেল্টার দেই। আমার জীবনে কারোর কোন ক্ষতি করেছি, এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেনা। পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার মানহানী করা হয়েছে, এজন্য আমি বিচার চাই এবং এ মিথ্যা নিউজের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালের ১০ জুন বুনিয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে তাকে অত্র ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যেখানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।