আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের ১০ থেকে ১২টি পরিবার এক সাবেক সেনা সদস্যর দীর্ঘদিনের নির্যাতন ও জমি দখলের চেষ্টা থেকে রেহাই পেতে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সোনাখালী মৌজার জে.এল নং-২৩, এস.এ খতিয়ান নং-৩০১-এর অধীনে মোট ১২.৬০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে বাদী সাফিয়া বেগমের স্বামী মো. আব্দুল মজিদ পৈত্রিক সূত্রে ১.৩৬ একর জমির মালিকানা ও ভোগদখল বজায় রেখে আসছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৩১ আগস্ট আব্দুল মজিদ নিজের জমিতে হালচাষ করতে গেলে স্থানীয় সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল গফফার (৪৫), তার পিতা আব্দুল মান্নান আকন (৬৫), ভাই শাহিন আকন (৩৫) ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম মিয়া (৬০) দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে আব্দুল মজিদ ও তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম গুরুতর আহত হন।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর বাদী সাফিয়া বেগম চারজনকে আসামি করে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গাজীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দেন।
বাদী সাফিয়া বেগম অভিযোগ করেন, আসামি আব্দুল গফফার সেনাবাহিনী ও পরবর্তীতে র্যাবে চাকরিরত অবস্থায়ও এলাকার সাধারণ মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছেন। চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছাড়াও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নানা অপকর্মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল গফফার মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গাজীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে