নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূতভাবে কোচিং করতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ২০১২ সালে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা’ জারি করে সরকার। ওই নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন শিক্ষার্থীদের স্কুলে কোচিং পড়তে বাধ্য করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে কোচিং করতে চাপ দিচ্ছেন। কোচিং করি আর না করি টাকা দিতে হবে বলেন। ক্লাসে ঠিকমত পড়ানো হয় না কোচিং করতে বলেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এনটিআরসিএ কর্তৃক নতুন নিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান, ষষ্ঠ শ্রেণির ৩০/৩৫ জন শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করাচ্ছেন। কোচিং এর জন্য প্রতি মাসে শিক্ষার্থীকে ৪০০ টাকা প্রদান করতে হবে। অন্যান্য শ্রেণীতে কোচিংয়ের জন্য প্রস্তুতি চলছে। মেহেদী হাসান চলতি মাসের ১ তারিখ এই বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হযে ৩ তারিখ থেকে কোচিং শুরু করেন। তিনি গণিত পড়ান আর তানজিল আক্তার ইংরেজি বিষয়ে পড়ান। সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, প্রধান শিক্ষক কোচিং করাতে বলছেন, তাই আমি কোচিং করাচ্ছি। সব স্কুলেই কোচিং হয়। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ভেতর কোচিং করানোর কথা স্বীকার করেছেন।
শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কোচিং করানো হচ্ছে, তবে কাউকে এ ব্যাপারে বাধ্য করা হয়নি বলে দাবি করেন। তিনি জানান, গত এসএসসি পরীক্ষায় ৩৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন এ প্লাস সহ মাত্র ১২ জন পাস করেছে। শিক্ষার্থীদের ভালো ফল নিশ্চিত করতে কোচিং চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি রিপোর্ট করলে আমি ট্যাকল দিব। শিবপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। কোন শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ের ভেতর কোচিং করে থাকেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।