রিপোর্ট, মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবুঃ- গলাচিপায় জমিজমাকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রকাশের জেরে দ্বিতীয় পক্ষের অভিযোগ।
পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। মোঃ কাইয়ুম (৩৫) পিতা কাদের মৃধা গত ২০২৩ ইং সালে গলাচিপা পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের দাতা মোঃ নজরুল প্যাদার নিকট থেকে স্থানীয় মাপের ৬ শতাংশ জমি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করে এবং একই দাতার কাছ থেকে আপ্তার হাওলাদার ও তার তিন পুত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন, প্রভাষক ও সাংবাদিক হারুন অর রশীদ, আবুল কাসেম ওরফে বাবুল ১৯৮১ সালে ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং আপ্তার হাওলাদারের মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে হারুনর রশীদ গং তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগদখল করলেও গ্রহীতা কাইয়ুমের ক্রয়কৃত অংশটুকু ভোগদখল করতে পারছেনা। উল্লেখ থাকে যে নজরুল প্যাদার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত ৪৮ শতাংশ জমি হারুনর রশিদ গং দের কাছে বিক্রয় করে এবং নজরুল প্যাদা নিজ ভাইয়ের কাছ থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি বিক্রি করে কাইয়ুম মাহমুদের কাছে।সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে দেখা যায় দাতা নজরুল প্যাদার ৫৫১, ৫৫২ খতিয়ানের ৪ টি দাগের ২ দাগ থেকে ৭০ দশকের দিকে শান্তি পালের নিকট কিছু জমি বিক্রয় করেন এবং ১৯৮১ সালে ৪ টি দাগ থেকেই ৪৮ শতাংশ জমি হারুন অর রশীদ গংদের কাছে বিক্রয় করেন। হারুন অর রশীদ গং ৪ দাগে জমি ক্রয় করলেও ভোগ করতে চাইছেন ২ দাগে, এবং সেই দুই দাগে দলিল মূলে চার জনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি আছে ৩২ শতাংশ যা দাতা কোনোভাবেই দখল দিতে নারাজ। ভুক্তভোগী কাইয়ুম বলেন ২০২৩ সালে নজরুল প্যাদার থেকে ৬ শতাংশ জমি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করি এবং ডোবা, নালার কারনে একই বছরে মাটি দিয়ে ভরাট করি এবং ভোগ দখল শুরু করি, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে হারুন অর রশীদ সহ তার ভাইয়েরা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে আমার জমিতে কাজ করতে বার বার বাধা প্রয়োগ করছে। বিভিন্ন সময়ে শালিস দরবার করেও নানাভাবে তালবাহানা ও নেতার মাধ্যমে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে আমার উল্লেখিত ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে কোনোদিন কোনো শালিসে উপস্থিত ছিলেন না সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান গলাচিপা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিয়া তারপরও প্রভাষক ও সাংবাদিক হারুন অর রশীদ সংবাদ মাধ্যমে যেসকল মানহানিকর বাজে মন্তব্য করেছে তার বিরুদ্ধে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন কাইয়ুম মাহমুদ। কাইয়ুম মাহমুদ আরো বলেন, আমি একটি ছোটো খাটো ব্যাবসা করি, কখনও রাজনৈতিক কোনো সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়নি কিন্তু ৫ আগস্টের পর নানাভাবে হয়রানি ও আমার জমি কব্জা করার জন্য আমাকে আওয়ামী ট্যাগ লাগিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি সংবাদ মাধ্যমে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান গলাচিপা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিয়া’র বিরুদ্ধে শালিসের নাম করে টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে হারুন অর রশীদ যা উল্লেখ করেছে তা ভিত্তিহীন ও সমাজে হেও প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে দাবী করেন নাসিরউদ্দিন মিয়া। নাসিরউদ্দিন মিয়া বলেন সংবাদের মূল বিষয় যা ছিলো সেখানে আমার নাম আসা সম্পূর্ণ অপ্রাসাঙ্গিক। এ বিষয়ে প্রভাষক ও সাংবাদিক হারুন অর রশীদের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সে বলেন ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সংবাদের সকল অভিযোগ সত্য।