পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- পটিয়ায় একটি পুকুর খননকে কেন্দ্র করে দু পক্ষ মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। এতে এক প্রবাসীর বসত ঘরের ওয়াল ভেংগে পড়ার আশংকা দেখা দেওয়ায় তারা চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মিচ মামলা দায়ের করেছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ওসি পটিয়া ও নালিশী ভূমির দখল বিষয়ে স্কেচম্যাপসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পটিয়া সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ প্রদান করেন। জানা যায়, উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আবদুল ছবুরের বাড়ির প্রবাসী জালাল উদ্দীনের সাথে একই এলাকার মো: ইলিয়াছ, ইদ্রিস মামুন গংয়ের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে ।
প্রবাসী জালাল উদ্দীন এর স্ত্রীর অভিযোগ প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তার বসত বাড়ির সাথে লাগানো জায়গায় খনন যন্ত্র দিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে গভীর পুকুর খনন কাজ শুরু করে। এতে তারা তাদের সীমানা প্রাচীর ভেংগে পড়ার আশংকা থাকায় প্রতিপক্ষকে দেয়াল সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু পূর্ব শক্রতার কারণে তারা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাওয়ায় তারা পটিয়া থানায় অভিযোগ করেন। এতে ও তারা খনন কাজ চালিয়ে যাওয়ায় পটিয়া থানায় এ নিয়ে বৈঠক হয়।এতে থানা থেকে প্রাচীর রক্ষার জন্য ৫ ফুট খালি জায়গা রেখে পুকুর খননের কথা বললে ও তারা পর্যাপ্ত সুরক্ষার জায়গা না রেখে ও পুকুরের কোন ধরনের পাড় বাধাই না করে পুকুর খনন করে যাওয়ায় আমাদের বহু বছরের পুরোনো সীমানা প্রাচীর ও বসত ঘর ভেংগে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
তাই আমি আমার স্বামী প্রদত্ত আম মোক্তার নামা মূলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে মিচ মামলা দায়ের করেছি। এতে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি এমনকি প্রাননাশের হুমকি দেওয়ায় আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। বর্তমানে পটিয়া থানার এসআই শ্রীনিবাস ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ ইস্যু করেন। আমি এ ব্যাপারে আমার বসত বাড়ী ও সীমানা প্রাচীর রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের কাছে আইনী ও মানবিক সহযোগিতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ মো:দেলা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা আমাদের জায়গায় ইউএনও এর কাছে আবেদন করে অনুমতি সাপেক্ষে পুকুর খনন করছি।
এখানে কারো বাধা দেওয়ার যুক্তিকথা নেই। তারপর ও আমরা তাদের সীমানা প্রাচীর যাতে না ভাঙে সেটা মাথায় রেখে কিছু জায়গা বাদ রেখে কাজ করছি।তিনি তার কাছে এ সংক্রান্তে কাগজ পত্র আছে বলে জানান। এ দিকে এ নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াছমিন আকতার বাদী হয়ে গত বুধবার পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান।