1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
ঝিনাইগাতীতে মান্নানকে বিএনপির সদস্য সচিব দেখতে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা - শিক্ষা তথ্য
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মানবিক সেবায় মানব কল্যাণ পরিষদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ভালো থাকার উৎসব অনুষ্ঠিত বুবলি যুব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বিউটিফিকেশন এবং ফুড প্রসেসিং কোর্স উদ্বোধন পিনাকী ক্যু’র নাটক করে দেশদ্রোহী প্রমাণ দিয়েছে : মোমিন মেহেদী দোয়ারাবাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি বাউফলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে মহড়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভোট ফর ধানের শীষ, ভোট ফর ওয়াদুদ ভুইয়া’ স্লোগানে গুইমারায় বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা শুরু রূপগঞ্জে শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলে অগ্নিকাণ্ড রূপগঞ্জে আন্তর্জাতিক দূ্র্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ও ৬৪ বিজিবি যৌথ অভিযানে শীর্ষ মাদক কারবারি তাজ উদ্দিন আটক বহু বছর পর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পয়ারীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ

ঝিনাইগাতীতে মান্নানকে বিএনপির সদস্য সচিব দেখতে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৬ Time View

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি:শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির আসন্ন আহ্বায়ক কমিটিতে সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক একনিষ্ঠ, পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত সংগঠক মো. আব্দুল মান্নানকে সদস্য সচিব পদে দেখতে চান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মান্নান উপজেলা সদরের নয়াগাঁও এলাকার মরহুম ফছি উদ্দিন মেম্বারের ছেলে ও বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

নেতা-কর্মীদের দাবি, দলের দুঃসময়ে তিনি ছিলেন রাজপথে সাহসী কণ্ঠস্বর এবং তার সুসংগঠিত নেতৃত্বের কারণে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে তৃণমূলের আস্থার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন মো. আব্দুল মান্নান।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, মো. আব্দুল মান্নান ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরে ১৯৯০ সালে ঝিনাইগাতী শহর শাখা ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে উপজেলা যুবদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও ২০১০সালে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়। ২০১৩ সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি থাকাবস্থায় উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হন। ২০১৪ সাল থেকে পর পর দুইবার জেলা বিএনপি’র সদস্য পদে মনোনীত হন। ২০১৭ সালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে ২০২১ সালে পুনরায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হন। পরে আহবায়ক ও সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মৃত্যুবরণ করায় তিনি উক্ত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আন্দোলনমুখর এই নেতা কখনো দলীয় সুবিধা নয়, বরং দায়িত্ব ও আদর্শকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ১৭টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে ৩টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও চলমান রয়েছে ১৪টি মামলা। এসব মামলার কারণে ৭ বার তাকে কারাগারে যেতে হয় এবং জেলে থাকতে হশ প্রায় ১৯ মাস। যা দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন রাজনৈতিক কর্মীর ও গৌরবময় ত্যাগের প্রতীক। রাজনীতির প্রতিটি স্তরে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, দৃঢ় নেতৃত্ব ও কর্মীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আগামী আহ্বায়ক কমিটিতে তাকে সদস্য সচিব হিসেবে দেখতে চান।

ঝিনাইগাতী উপজেলার তৃণমূলের একাধিক নেতা জানান, ‘আব্দুল মান্নান শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। সংকট, হামলা-মামলাসহ  যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি সবার আগে আমাদের পাশে ছিলেন ও ভবিষ্যতে পাশে থাকবেন।’

উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক এফএম মনিরুউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আমরা মান্নান ভাইয়ের নেতৃত্বে নতুন করে রাজনীতির স্বপ্ন দেখি। তার মতো অভিজ্ঞ, সাহসী এবং নির্ভরযোগ্য নেতার নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে উৎসাহ পাই।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান বিপ্লব বলেন, ‘রাজনীতি মানে শুধু পদ-পদবি নয়, এটি দায়িত্ব ও ত্যাগের বিষয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যতই আসুক, মাঠে যিনি থাকেন, তিনিই প্রকৃত নেতা। মান্নান ভাই মাঠে আছেন, থাকেন এবং আমাদের পাশে দাঁড়ান সবসময়। তার মত নেতার বিকল্প নাই, তাই আসন্ন আহ্বায়ক কমিটিতে তাকে সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

ধানশাইল ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাপ হোসেন মাষ্টার বলেন, ‘দল যখন কঠিন সময় পার করছিল, তখন আমরা কেউ তাকে আড়ালে পাইনি। তার মতো পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতার হাতে আবারও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব গেলে সংগঠন আরও গতিশীল হবে।’

বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘দল এবং নেতা-কর্মীদের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দায়িত্ব পেলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সংগঠনকে এগিয়ে নিতে।’

শেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে এমন নেতাদের অগ্রাধিকার দেব, যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, দুঃসময়ে দল ছাড়েনি, রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলা মোকাবিলা করেছেন এবং তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য তারাই কমিটিতে জায়গা পাবেন।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি