গাজীপুর প্রতিনিধি:গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে বৈষম্য বিরোধী মামলার আসামী ও আওয়ামীলীগের দোসর দলিল উদদীন দুলালের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনের অত্যাচারে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মামলা মোকদ্দমা ও পুলিশি হয়রানীর মাধ্যমে তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগ একটি মামলা রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাখাওয়াত হোসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি।
তার বাবা আওয়ামী লীগের দোসর। এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জায়গা জমি জোরপূর্বক দখল করে তিনি উল্টো জমির মালিকদের হয়রানী করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করান তিনি। সাখাওয়াত হোসেন অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার হাত থেকে সাধারন মানুষ মুক্তির জন্য তার গ্রেফতার দাবী করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায় মানুষের টাকা মেরে খাওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে এলাকা ছেড়ে উত্তরা গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি।এরপর সাখাওয়াত প্রতারণা সহ বিভিন্ন দুর্নীতি অপকর্ম করে অঢেল অর্থ সম্পত্তির মালিক হন।এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক সেবী দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে পূবাইলের বারই বাড়ি ও সোরল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।৫ ই আগস্টের পর নিজের লেভাস পরিবর্তন করে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে এলাকার নিরীহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ফেলে জবর দখল করার পায়তারা করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবননাশের হুমকি প্রদান করে।এ বিষয়ে পুবাইল থানায় স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন এই ভুমি দস্যু আওয়ামী লীগের দোসরের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
সাখাওয়াতের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করে পুবাইল থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ন সাধরান সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার,রাকিব মোল্লা ও রানার বিরুদ্ধে সাখাওয়াত তার ছোট ভাই শরাফত কে দিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজের মামলা দিয়েছে। চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
এ বিষয়ে পূবাইল থানা বিএনপি’র ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার বলেন, পুবাইল থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন বকুল, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ সরকার,থানা বিএনপির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন খোকন,৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আনোয়ার হোসেন দেওয়ান,পুবাইল থানা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সোহরাব সরকার, বারই বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন বাবলু স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতৃবৃন্দ,ও সাংবাদিক বৃন্দদের নিয়ে শারদীয় দৈর্ঘ্য উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সোরল কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপে গেলে,স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আমাদের কাছে সাখাওয়াতের কুকর্মের বর্ণনা দিয়ে চিৎকার শুরু করে,এ সময় পূজা মন্ডপ উপস্থিত সাখাওয়াতের ভাই শরাফত কে জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের উপর চড়াও হয়ে তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে, তখন আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা তাকে প্রতিহত করে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো চাঁদাবাজির মামলা করেছে। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।সাখাওয়াত ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের দোসর।
আরও জানা যায়, সাখাওয়াতের বাবা দলিল উদদীন দূলাল সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সাখাওয়াতের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন একাধিক বার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।