বন্দর প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বৈরাচারী সরকারের পদদারী নেতাদের গ্রেফতারের দাবী সংবাদ প্রকাশের পর গ্রেফতার রমজানকে। বন্দর থানা পুলিশ ডেভিল হান্ট অভিযান চালিয়ে নানা অপকর্মের হোতা রমজানকে গ্রেফতার করেছে। বন্দরে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি রমজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বন্দরে অভিযানে বন্দর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রমজান (৫২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবলীগ নেতা রমজান বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। ধৃতকে শনিবার ১৮ অক্টোবর দুপুরে বন্দর থানায় দায়েরকৃত ৩(৯)২৪ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার ১৭ অক্টোবর রাতে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ বাগবাড়িস্থ তার নিজ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
থানা ও মামলার তথ্যসূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মাওলানা মো. হাছান মাহমুদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য। গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টায় মামলার বাদী বন্দর বাসস্ট্যান্ড হইতে বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসার পথে শাহীমসজিদ পল্লী বিদ্যুৎত অফিসের মোড়ে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দোসররা মাওলানা হাছান মাহমুদকে হত্যা উদ্দেশ্য অর্তকিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হাছান মাহমুদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় সম্পৃক্ততা থাকার অপরাধে যুবলীগ নেতা রমজানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ধৃত যুবলীগ নেতা রমজানের বিরুদ্ধে জমি দখল, জমি দালালি, অবৈধ গ্যাস সংযোগের গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ যুবলীগ নেতা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম মাধ্যমে রাতা রাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত স্বৈরাচারী সরকারের পদদারী নেতাদের গ্রেফতারের দাবী সচেতন মহলের। বিগত ১৬ বছর দলীয় পদদারী নেতরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য কমিটির অধিকাংশ নেতাই ওয়ান ম্যান সো। যাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আর বিভিন্ন অপকর্ম করে বিশাল টাকার মালিক বনে গেলেও যৌথবাহিনীর অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান পরিচালনার জালে পড়ছে না। দলীয় সমর্থীত কর্মী সাধারণ ডেভিড হান্ট অভিযানে গ্রেফতার হলেও বহাল তবিয়তে দোসররা। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের (স্বৈরচারী সরকারের) স্বৈরাচারী সরকারের বন্দর উপজেলা আ’লীগের পদদারী নেতারা বহাল তবিয়তে অবস্থান পূর্বক পুনরায় স্ব স্ব এলাকায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। প্রশাসনের যৌথবাহিনীর অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে কর্মী সাধারন গ্রেফতার হলেও শীর্ষ নেতারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ জনের কমিটির নেতার মধো ২/৩ জন ডেভিড হান্টের অভিযানে গ্রেফতার হলেও অধরা ওসমান পরিবারের দোসররা। বিগত ১৪ মাস অতিবাহিত হলেও স্বৈরাচারী সরকারের ওসমান পরিবারের দোসরদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মী বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে নেতারা যেভাবে ছিল, এখনো সে অবস্থায় আছে। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। দল করে টোকাই হতে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে তারাই এখন ভালো অবস্থানে আছে। ব্যবসা বাণিজ্য, রাতে ঘুমানোর জায়গার মতো সার্বিক অবস্থা দেখবাল করছে অলিখিত ভাবে ক্ষমতায় আসা বিএনপি নেতারা। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে স্বৈরাচারী সরকারের দূস্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার জোড়ালো দাবী সচেতন মহলের। সূত্র মতে, রামের বীরত্বপূর্ণ কাহিনি বদলে রক্তের রঞ্জিত ছাত্রজনতা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যম স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও সুবিধা নিচ্ছে দোসররা। যৌথবাহিনীর অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযান পরিচালনা হলেও অধরা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ওই ৭১ সদস্যের কমিটির নেতাদের। কর্মী বাহিনী যে বা যারা দলের অত্যন্ত প্রহরী ছিল তাদের ভুলে গেছেন নেতারা। স্বৈরচারী সরকারের ক্ষমতার প্রভাবে অর্থ বিত্তের মালিক হলেও পালিয়ে গিয়ে দিব্বি জীবন যাপন করছে।
একটি দুর্বল সরকারের কারণে পুরো রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি সিস্টেম কলাপস করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে কোথাও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সবকিছু চলছে আল্লাহর নামে। দিন দিন পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে— পরিস্থিতি ততই জটিল ও খারাপ হতে পারে। এই অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিতে হবে। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির কাগজ নিয়ে বিশেষ অভিযানের দাবী সচেতন মহলের।