সাইফুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ছিনতাই ও ধর্ষণের অপচেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রী মোছাঃ বিউটি বেগম। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের কলেজ মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। মহিলা দল সভানেত্রী মোছাঃ বিউটি বেগম বলেন, গত ১৬ অক্টোবর তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে মওলানা ভাসানী সেতু এলাকায় মহিলা দলের পক্ষ থেকে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে তিনি বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন। সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছালে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিকের নেতৃত্বে পাঁচ যুবক তার অটোরিকশার গতিরোধ করে অন্ধকারে টেনে নেয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক নিজেই চার যুবককে নির্দেশ দেন আমাকে নামিয়ে নিতে।
এরপর কাদের, মনিরুজ্জামান মমিন, সাদ্দাম ও চঞ্চল নামের চারজন আমার ওপর হামলা চালায়। তারা আমার স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। বিউটি বেগম আরও বলেন, ঘটনার পর তিনি সুন্দরগঞ্জ থানায় এজাহার দাখিল করলেও থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগে মাহমুদের নাম বাদ দিতে বলেন। ‘আমি নির্যাতনের শিকার হয়েছি, এখন আবার ন্যায়বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ করেন তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমার মামলা নথিভুক্ত না হয়, তবে উপজেলা জুড়ে মহিলা দলকে নিয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও হরতালের ডাক দিতে বাধ্য হব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তারাপুর ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী রুপা বেগম, দহবন্দ ইউনিয়নের সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম, সোনারায় ইউনিয়নের সভানেত্রী জাহানারা বেগম, কাপাসিয়া ইউনিয়নের সভানেত্রী মাসুদা বেগম, শান্তিরাম ইউনিয়নের সভানেত্রী ফাল্গুনী বেগম, হরিপুর ইউনিয়নের সভানেত্রী ববিতা বেগমসহ স্থানীয় নেত্রীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ১৬ অক্টোবর মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি নিয়ে আমি ব্যস্ত ছিলাম। সেদিন বিউটি আপার সঙ্গে আমার কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। আমি ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার জনপ্রিয়তা দেখে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, যতটুকু ঘটনা ঘটেছে, ততটুকুই এজাহারে উল্লেখ করতে বলেছি। কোনো নেতার নাম বাদ দিতে বলিনি।