মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা থেকে, র্যাবের যৌথ অভিযানে বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২নং পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ ও র্যাব-১০। র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাতে র্যাব-৬ খুলনা ও র্যাব-১০, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকা কামরাঙ্গীচর থানাধীন ছাতা মসজিদ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর কালাম খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২নং পলাতক আসামি- মোঃ খবির খান (৪৫), পিতা- মৃত নূর ইসলাম, সাং- ঢেপুয়ারপাড়, থানা- মোরেলগঞ্জ, জেলা- বাগেরহাটকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম আবুল কালাম খান ও আসামিদের মধ্যে জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতা ছিল।
এর ধারাবাহিকতায় ০৪ আক্টোবর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকার সময় মোরেলগঞ্জ থানাধীন ঢেপুয়ারপাড় সাকিনস্থ শেখপাড়া কাঠের পুল এলাকায় এজাহারে বর্ণিত ৫ নং আসামি ভিকটিম ও তার ভাইকে ডেকে নিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি সহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিম ও তার ভাইকে রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তিতে ভিকটিম ও তার ভাইকে চিকিৎসার জন্য মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে এবং তার ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৬, এর আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।