আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ- বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক মো. রোকনুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত বানোয়াট ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির আয়োজন করে আমতলী উপজেলা বিএনপি। এতে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মকবুল আহম্মেদ খান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জালাল আহম্মেদ খান, যুবদলের সিনিয়র নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মো. সামসুল হক চৌকিদার, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সোয়েব ইসলাম হেলাল, সদস্য সচিব মো. ইমরান খান, ইসলামী আন্দোলন আমতলী শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মো. কামরুজ্জামান,
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ খান তাপস, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, “ইউএনও মো. রোকনুজ্জামান খান বরগুনার পাথরঘাটায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ৬ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে আমতলীতে আসেন। সেই সময় এক হোটেলে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে চা পান করার একটি পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারসহ তোলা আরও একটি ছবিকেও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে তাকে আওয়ামীপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।” বক্তারা এই ঘটনাকে নির্লজ্জ অপপ্রচার আখ্যা দিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, “ইউএনও রোকনুজ্জামান খান ১৩ মে আমতলীতে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তিনি সঠিকভাবে কাজের তদারকি করায় একটি কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।” অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “আমি পাথরঘাটায় ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৬ মে মাকে বাসে তুলে দিতে আমতলীতে আসি, সেদিন দুজন সরকারি কর্মকর্তার অনুরোধে হোটেল সকাল-সন্ধ্যায় চা পান করতে বসেছিলাম।
সেখানে কেউ একটি ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করে, পরে আমি নিজেও আমতলীতে যোগদানের পর সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারসহ ঘুরতে যাওয়ার কিছু ছবি আমার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করি, ওই ছবিগুলো বিকৃতভাবে ব্যবহার করে একটি মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত বা প্রশাসনিক কোনো যোগাযোগ নেই। তাই এসব সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”