“বন্দর উপজেলা ভূমি অফিস এখন ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম আর গ্রাহক হয়রানির আখড়া” নারায়নগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড রহিমা আক্তার ইতি বলেন, গত ২০২৪ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অদ্যাবধি কৃতিত্বের সাথে পাশাপাশি সততার সাথে উপজেলা ভূমি ব্যবস্থাপনা চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন জনবান্ধব এসিল্যান্ড হিসেবে ইতিমধ্যেই তার সুনাম জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যে তিনি নিষ্পত্তি করেছেন ৪ শতাধিক মিস কেস। ধনী গরিব নির্বিশেষে তার কাছে যাওয়ার জন্য কারো দ্বারস্থ হতে হয় না। জনতার এসিল্যান্ড হিসেবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টার অধিক সময় তার দরজা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এমনও হয় অনেক জরুরি ফাইল নিয়ে বাসায় গিয়েও কাজ করেন।
জনসাধারণের বৈধ স্বার্থ রক্ষায় তিনি যেমন সদা সর্বদা সজাগ। খাস সম্পত্তি, অর্পিত, পরিত্যক্ত, নদী তীরবর্তী জায়গা, খালের জায়গা, সড়ক ও জনপদের জায়গা, রেলের জমি, বিআইডব্লিউটিএ’র ভূমি তথা এক কথায় রাষ্ট্রের জমি রক্ষার পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষার্থেও অটল এবং অবিচল।
যার ফলে কিছু চিহ্নিত অসাধু ভূমিদস্যু নিজেদের ফায়দা নিতে পারেনি বিধায় তার বিরুদ্ধে নানা সময় প্রবাকাণ্ডা ছড়াচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নামজারির ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম অব্যবস্থাপনা বন্দর উপজেলায় ব্যাপকভাবে দূর হয়েছে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে বন্দর উপজেলায়। একশ্রেণীর দালাল টাউট ও ভূমিদস্যুরা সরকারি জমি ও অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়া বা অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানানোর রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিটা ইউনিয়ন ভূমি অফিস জবাবদিহিতার আওতায় এসেছে। প্রশাসনেরও কাজের গতি বেড়েছে চোখে পড়ার মতো, বিভিন্ন চিঠিপত্রের জবাব ও কাগজপত্র আদান-প্রদানে যথেষ্ট গতি বেড়েছে। সর্বদিক দিয়ে বন্দর উপজেলা ভূমি অফিস জনগণের সেবায় একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরিত হওয়ায় কিছু কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে তথাকথিত প্রিন্টি মিডিয়ায় জন নিবেদিত একজন এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মন গড়া প্রতিবেদন তৈরী করে এমন একজন মহৎ মানুষের চরিত্র হরনের চেষ্টা করছে। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান বন্দর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বন্দরের সাধারণ জনগণ জেলা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে দাবি করেন। এই ধরনের ঘৃনিত কাজের সঙ্গে জড়িতদেরচিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আনা হোক।
যাকে ব্যবহার করে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঐ অনলাইন পত্রিকায় আমাকে উপস্থাপনা করা হয়েছে মাত্র, আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি। তাছাড়া আমাকে তিন ঘন্টা অফিসে বসিয়ে রেখেছিল এ কথা মিথ্যা এবং মিরাজ নামে আমি কাউকে চিনি না।
এ ব্যাপারে এডভোকেট মো. আকবর হোসেন বলেন,
আমার বিষয়ে যে কথাগুলো বলা হয়েছে এ কথা আমি কখনোই বলিনি। তাই পত্রিকার সম্পাদকের নিকট আমি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।
এসিল্যান্ড রহিমা আক্তার ইতি বলেন, যে জমির ব্যাপারে উনারা আমার কাছে এসেছিল তাহা ফোরশোর সম্পত্তি এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বন্দর ফেরিঘাট (সেন্ট্রাল ঘাট) শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড় এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বিদায় আমার কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ঐ জমির নামজারী করে আমি কিভাবে এ কাজ করার অনুমতি দিতে পারি।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস এর সাংবাদিকের সাথে আমার কোন কথাই হয়নি। এখানে আমার বিষয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। একথা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। আমার সাথে ঐ পত্রিকার কোন সাংবাদিকের সাথে কথা হয়নি। আমার জানামতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য সুন্দরভাবে পালন করে যাচ্ছেন।