তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ ডাব বিক্রির কথা বলে ক্রেতাদ্বয়কে আটকপূর্বক মারধর ও মুক্তিপণ আদায় চক্রকের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফুলপুর থানা পুলিশ। এর আগে অপহরণকারী দুজনকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এজাহারনামীয় আসামী মোঃ নূর ইসলাম (২৩), বনগাঁও গ্রামের রূসমত আলীর ছেলে এবং ঘটনায় জড়িত দর্জিপয়ারী গ্রামের আব্দুল হাই ও রমিজা খাতুনের ছেলে মোঃ রেজাউল(২২), এবং বনগাঁও গ্রামের আব্দুল মন্নাছ ও ফাতেমা খাতুনের ছেলে অটো ড্রাইভার ইয়াছিন (২৫)। উভয় ফুলপুর থানাধীন বাসিন্দা। সবাইকে আটক করে থানায় আনা হয়। জানা যায়, উপজেলার একটি প্রতারক চক্র অনেক দিন ধরেই নারিকেলের বাগান থেকে ডাব বিক্রির কথা বলে দূর দূরান্ত থেকে লোক এনে তাদের টর্চল করে মুক্তিপণ দাবি করে বিকাশ সহ নানান ভাবে মুক্তিপণ আদায় করছেন।
তেমনি একটি চক্র ভোলা জেলার ডাব ব্যবসায়ি মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৬৫) এবং মোঃ ইউসুফ আলী (৩০)কে নারিকেলের বাগানের প্রায় ১২শ ডাব বিক্রির কথা বলেন প্রতিটি ডাব ৪০ টাকা মূল্য নির্ধারন করে। পরে গত (১ নভেম্বর) শনিবার ঢাকা হতে ময়মনসিংহে আসলে। সেখান থেকে তাদেরকে ফুলপুর বাস্ট্যান্ড আনেন অটোযোগে থানাধীন সদর ইউনিয়নের বাতিকুড়া গ্রামের রৌহার বিল রিফুজি টিলা নামকস্থানে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন মিলে ভিকটিমদ্বয়কে গামছা দিয়ে হাত বেঁধে চাকু দিয়া খুন, জখমের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ভিকটিমদের শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেন। তাদের সাথে থাকা ব্যাগে রক্ষিত নগদ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা, ০২টি মোবাইল ফোন যাহার মূল্য অনুমান ৩৭ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। আরও মুক্তিপন হিসাবে ৭০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন ।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাদি ঘটনা সততা নিশ্চিত করে সংবাদকর্মী তপু রায়হান রাব্বিকে বলেন, উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে সহকারী পুলিশ সুপার ফুলপুর সার্কেল মোঃ রাকিবুর রহমান স্যারের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ) মোঃ আব্দুল কাদের সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় (১০ই নভেম্বর) সোমবার মধ্যরাতে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামী মোঃ নূর ইসলাম (৩) এবং ঘটনায় জড়িত মোঃ রেজাউল(২২), অটো ড্রাইভার ইয়াছিন (২৫) আটক করে থানায় আনা হয়। পরে তাদের দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।