নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের কাশীপুর এলাকায় সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠেছেন একসময়ের শামীম ওসমানের বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত জিতু। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি এখন বেপরোয়া আচরণে জড়িয়ে পড়েছেন এবং কাশীপুর ইউনিয়নকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনার উদ্যোগে নানাভাবে বাধা দিচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই জিতু এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, ইউনিয়নটি সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এই আশঙ্কা থেকেই তিনি সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
কাশীপুরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, জিতু বর্তমানে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “জিতুর প্রভাব এখন এমন পর্যায়ে যে, অনেকেই তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।”
এছাড়া জানা গেছে, অতীতে একটি স্কুলের ম্যাগাজিন প্রকাশের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগেও তার নাম উঠে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবের কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অতীতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান ও সাইফুল্লাহ বাদল কাশীপুরকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় না আনার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমানে সেই ধারাবাহিকতার দায়িত্ব যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন জিতু।
এ বিষয়ে জিতুর মন্তব্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
অন্যদিকে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাশীপুর ইউনিয়নকে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। তবে স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব ও স্বার্থ জড়িত থাকায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে।
কাশীপুরবাসীর দাবি, উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার স্বার্থে ইউনিয়নকে দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনা হোক। রাজনৈতিক স্বার্থ নয়, জনগণের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।