বিশেষ প্রতিনিধিঃ শহরের সিরাজউদ্দৌলার সড়কের পাশের রেলওয়ের ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এবং নির্মানাধীন কদম রসূল সেতুর কাজের দ্রুত দৃশ্যমান অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন বন্দর উন্নয়ন ফোরাম। গতকাল বুধবার উন্নয়ন ফোরামের আহবায়ক হাফেজ মোঃ কবির হোসেন ও সদস্য সচিব আব্দুল লতিফ রানার নেতৃত্বে একটি দল এই স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপিতে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের জনগণের দাবির উপর গুরুত্ব দিয়ে শীতলক্ষা নদীর উপর দিয়ে কদম রসূল সেতু নির্মাণের উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয় এরই মধ্যে কদম রসুল সেতুর নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য নদীর পূর্ব পাড়ের বন্দর এলাকার সেতুর সড়কের জন্য আবাসিক ভবনসহ এখানকার সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিম পারে সেতুর অ্যাপরোচ সড়কের জন্য বরাদ্দকৃত রেলওয়ের ভূমি অবৈধ দখল হতে উদ্ধারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এর আগেও রেলওয়ের এই জায়গাটি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েও কিছু ভুঁইফোড় সংগঠন ও তাদের সিন্ডিকেটের বাধার মুখে তা পারেনি। এমনকি এখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে তাদের দখলকে আরো পাকাপোক্ত করার ব্যবস্থা করার বিনিময়ে এই চক্রটি এখান থেকে লাখ লাখ টাকা মাসোহারা নেয় বলে অভিযোগ আছে। তাদের চক্রান্তের অংশ হিসেবেই রাতের আঁধারে খুব দ্রুত এখানে থাকা মন্দিরটি দ্বিতল করা হয়েছে। যা দৃশ্যমান সত্য এবং একটু দৃষ্টি নিক্ষেপেই বুঝা যাবে। শহরের এই অংশটিতে শহরের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের অবস্থান। এর পাশেই নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল, নারায়ণগঞ্জ এর সর্ববৃহৎ দ্বিগু বাবুর বাজার এবং বাংলাদেশের অন্যতম পাইকারি পণ্যের এলাকা টানবাজারের অবস্থান। তাই এখানকার যানজট নিরসনে এই জায়গা উদ্ধার করা নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে শহর ও বন্দরের জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কদম রসুল সেতুর জন্য বরাদ্দ রেলওয়ের ভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং কদম রসুল সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত দৃশ্যমান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ নুর উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তা বেগম, বন্দর উন্নয়ন ফোরামের যুগ্ন আহবায়ক মোহসিন দেওয়ান, খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী মোঃ ইলিয়াস আহমেদ, জেলা খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাব্বির আহমেদ, বন্দর উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, মাওলানা আবু হানিফ, সাইদুজ্জামান, সমাজকর্মী শহীদ উদ্দিন কামাল প্রমুখ।