দক্ষ জনবল নেই বলে, অর্থনৈতিক বিনিয়োগের শক্তি নেই বলে আমাদের দেশের বন্দর এখন থাকবে উন্নত দেশভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ততত্বাবধানে? আর এতে কে খুশি সবচেয়ে বেশি ড. ইউনূস। সেই সাথে পিনাকীরি মত আরো অনেকেই। গণজাগরণ মঞ্চের সাবেক সংগঠক-কমিউনিস্ট ও এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যর ভাষায় ‘জয় বাংলা’ মানে শেষ। আর এই শ্লোগান দেয়ায় একজন বিএনপির মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমন সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসে প্রমাণ করেছে ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আসা সরকারের এই সময়ে শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতাই বাড়েনি, বেড়েছে ছাত্র-যুব-জনতার কষ্ট। সেই কষ্টের পথ ধরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি লাগাম ছাড়া হয়েছে। বেড়েছে ছিনতাই-চুরি-ডাকাতি-দখল-চাঁদাবাজী-ধর্ষণ-সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ। এত এত সংকটেও সাকিব আল হাসানের নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর নৌকার ছবি পেছনে রেখে ছবি তোলা এবং সোস্যাল মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ভোট চাওয়া শফিকুল আলম বলছেন, কোনো সংকট নেই; দেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো চলছে। তাঁর কথা কতটা সত্য? তা জানতে চলুন চোখ রাখি বাস্তবতায়- দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র রপ্তানি খাত অনিশ্চয়তার কবলে।
এমন একটা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্রেতাদের আস্থার সংকট এবং বিভ্রান্তিকর সরকারি বার্তা—সব মিলিয়ে বড় ক্রেতারা কার্যাদেশ দেওয়া থেকে সরে যাচ্ছে। কমপ্লায়েন্স বা নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা হুট করে বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। বরং কারখানাগুলোতে পরিপালনযোগ্য ও উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ক্রেতারা কার্যাদেশ দেবে না বলেও শোনা যাচ্ছে। আর এই প্রসঙ্গেই প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেছেন- ‘নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধ হওয়া খারাপ কিছু নয়। এটি শিল্পের সুষ্ঠু ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
তবে অনেকের মত আমি মনে করি- এ ধরনের সিদ্ধান্ত পোশাকশিল্পে নেতিবাচক ও জটিল প্রভাব ফেলতে পারে। প্রকাশিত সর্বশেষ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে রপ্তানির নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। এমনিতেই নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকেই পণ্য রপ্তানিতে পতন চলছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসও সে ধারায়ই শেষ হলো। মাসটিতে রপ্তানি কমেছে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৭ শতাংশেরও বেশি। যতদূর জেনেছি- রপ্তানি কম হয়েছে ৫১ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ছয় হাজার ১২০ কোটি টাকার মতো। গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয় ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য। গেল অক্টোবরে তা ৩৬২ কোটি ডলারে নেমে এলো। এ নিয়ে রপ্তানি কমল টানা তিন মাস। এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বমানের নিরাপত্তা ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে; কিন্তু এখনো কিছু কারখানা সেই মানদণ্ডে পৌঁছতে পারেনি। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের দায়িত্ব ছিল এই কারখানাগুলোর সংস্কার ও তদারকি জোরদার করা; কিন্তু সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্য না দেখিয়ে এখন সরকার নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধের দিকেই ঝুঁকছে। সেই সাথে বলতে পারি- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্যর কথাও। যেখানে বলা হয়েছে- গত এক বছরে দেশে অন্তত ২৫৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এক লাখের বেশি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশকে কারা ক্ষতির মুখে ফেলছে? এমন প্রশ্ন নিয়ে একটু গভীর চিন্তা করলেই উঠে আসছে এমন তথ্য- গত এক বছরে ২৫৮টি কারখানা তাদের উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে ক্ষুদ্র বা মাঝারি পরিসরে টিকে থাকার চেষ্টা করছে; কিন্তু ক্রমবর্ধমান ব্যয়, বিদ্যুৎসংকট, মজুরি সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অনিশ্চয়তার কারণে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে একই সময়ে নতুন ১৬৬টি কারখানা চালু হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি সক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একথাও স্পষ্ট যে, কারখানা বন্ধের কারণে শুধু উৎপাদনই নয়, শ্রমিকদের জীবিকা, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। চাকরি হারালে পরিবারগুলোর আয় কমে যাচ্ছে, অনেকে বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না, শিশুদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। ‘কার্যাদেশ কমে যাওয়া’ এবং ‘ক্রেতাদের আস্থাহীনতা’ এই দুটি বিষয় সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হয়ে উঠছে। শিল্প রপ্তানির দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রেতারা সরবরাহ স্থিতিশীলতা ও আস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। যদি বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে কারখানা বন্ধ হতে থাকে, তাহলে অনেক ক্রেতা বিকল্প দেশ যেমন—ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে অর্ডার সরিয়ে নিতে পারেন। একথাও এখন সত্য প্রমাণিত যে, নন-কমপ্লায়েন্স ইস্যুটি শুধু শাস্তিমূলক নয়, বরং এটি শিল্পনীতি, শ্রমিক সুরক্ষা, রপ্তানি সক্ষমতা ও বৈদেশিক ভাবমূর্তির সমন্বিত বিষয়। তাই সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর উচিত একযোগে পরিকল্পনা নিয়ে দুর্বল কারখানাগুলোকে সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, যাতে শিল্পের সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। কমপ্লায়েন্স বা নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা হুট করে বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়, বরং কারখানাগুলোকে পরিপালনযোগ্য ও উপযুক্ত পরিবেশে নিয়ে আসতে হবে। ছোট-বড় সব কারখানায় বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে। তাই হঠাৎ বন্ধ হলে সরবরাহব্যবস্থা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে এবং ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যায়। তবে পোশাক খাতে কিছুটা কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা গেলেও দেশের শিল্প-কারখানার বড় একটি অংশ এখনো অধরা। তাই কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া সব ক্ষেত্রে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অংশীদারি বাড়াতে হবে, যা এখনো পর্যাপ্তভাবে হয়নি। কারখানা বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন নির্মম বাস্তবতায় বলতেই হচ্ছে- বিজিএমইএ সভাপতি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎও পাচ্ছেন না; তাহলে তিনি এই দায়িত্ব নিয়েছেন কেন? তাঁর মুখপাত্র উল্টাপাল্টা কথা বলেন, ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ান। অথচ আমরা প্রতিনিয়ত মরছি; কারখানা বন্ধ হচ্ছে, মানুষ চাকরি হারাচ্ছে, আর তিনি চোখ বন্ধ করে বসে আছেন।
আর এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীরা কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বলছে- ‘আমাদের কপাল আগেই পুড়েছে, এখন কারখানা, বাড়ি, এমনকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও পুড়ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ দেশে বিদেশে সবাই বিশ^াস করে- পোশাক খাত দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। সাম্প্রতিক এই সংকট শুধু শিল্প মালিকদের নয়, বরং সার্বিক অর্থনীতির ওপরও গুরুতর প্রভাব ফেলছে। আমেরিকার বাজারে মন্দা, চাহিদা কম এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ফলে রপ্তানি কমছে। অনিশ্চয়তার মধ্যে বড় ক্রেতারা কার্যাদেশ দেবে না। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সর্বজ্ঞানী মুখপাত্রের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের কারণে ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশ আবারো এক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে। অন্তর্র্বতী সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশমালা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ক্ষমতার টানাপোড়েন। যদিও বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘সংকট’ শব্দটি নতুন নয়। কিন্তু এবার পার্থক্য হলো- এই সংকট সমাধানের কোনো নেতা নেই, কোনো নিশ্চিত দিকনির্দেশনা নেই। সরকার নিজের অবস্থান রক্ষায় ব্যস্ত, বিরোধীরা দ্বিধায়, ছোট দলগুলো বিভক্ত, আর জনগণ উদাসীন। এমন পরিস্থিতিতে যারা অন্তবর্তী সরকারের সুবিধাভোগি ও শুভানুধ্যায়ী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আফসোসসহ সোজাসাপটা বলেছেন, ‘দেশ এক বিরাট সংকটে পড়েছে, আর এই সরকার সেই সংকট উদ্ধার করার ক্ষমতা রাখে না।’ এবারের সংকটের উৎস জুলাই জাতীয় সনদ ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে। এই সনদ অন্তর্র্বতী সরকারের বৈধতা ও রাজনৈতিক রূপরেখার কেন্দ্রবিন্দু। এই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার তাদের সুপারিশমালা জমা দেয় অন্তর্র্বতী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। কিন্তু কমিশনের সুপারিশই এখন নতুন সংকটের জন্ম দিয়েছে। একটি সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন করা হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন নেওয়া হবে। গণভোটের সময় হবে- ‘নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা নির্বাচনের দিন’- এই অস্পষ্ট বাক্যই বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু। আর জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি চায় নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট। তাদের দাবি, ‘অন্তর্র্বতী সরকার যতদিন দেরি করবে, ততদিন বৈধতা হারাবে।’ গত বৃহস্পতিবার তারা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে গণভোটের তারিখ নির্ধারণের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়। অপরদিকে বিএনপি গণভোটের আগে নির্বাচনকালীন পরিবেশ ও প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চায়। একথাও সত্য যে, এই সরকারের হাতে গণভোট মানে একতরফা জনমত সংগ্রহ। এই বিরোধ থেকেই এখন যে গভীর সংকট বাস্তব রূপ নিচ্ছে। দিনের আলোর মত সত্য যে, এই সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে ব্যস্ত যখন, তখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘নির্বুদ্ধিতা, বোকামি ও মূর্খতা’ বলেই আমার মত অনেকেই বলা শুরু করেছেন। এমনকি বাংলাদেশ সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটবো সেটা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতদের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের গতিপথ। তাঁর সন্তান যেহেতু সেনা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্তা, সেহেতু তিনি নিজের শক্তিকে অনেক বেশি বলেই হয়তো মনে করেন। যে কারণে প্রধান উপদেষ্টা, প্রেস সচিবসহ অনেকের কথার বিরুদ্ধে গিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া কখনও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব নয়। ১০ লাখ লোক নির্বাচনী কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। যারা জেলে আছে এবং প্রবাসীদের জন্যও এবার অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে তিনি সরকারের অনেক ব্যর্থতাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পাশাপাশি সাহস নিয়ে বলেছেন, এআইয়ের অপব্যবহার করে নির্বাচনে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে দুষ্টু লোক, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সবাই যাচাই বাছাই করুন, সজাগ থাকুন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী যখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা; তখন নিরাপত্তা সরকার দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু এখানেই কি শেষ রাজস্ব আদায়ও হচ্ছে কম, বিগত সরকারের নেওয়া ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাওয়ায় তীব্র আর্থিক সংকটের পথে হাঁটা শুরু করেছে ছাত্রদের সরকার খ্যাত অন্তর্বর্তী সরকার। আর্থিক দুরবস্থার কারণে সরকার কৃচ্ছ সাধনের নীতিও গ্রহণ করেছে বলে ইতমধ্যে শোনা যাচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগোতে ও সরকারের পরিকল্পিত চলতি ব্যয় মেটাতেও ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে। অন্যদিকে, বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমে যাচ্ছে। সরকারি খাতের ঋণ বাড়ায় সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ সামান্য বেড়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সূচকগুলোর হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।