নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, আজ যখন তখন যেখানে সেখানে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে মবগুলোই প্রমাণ করছে যে, ইউনূস সরকার নিরানব্বই ভাগ ব্যর্থ। বাকি ১ ভাগে তিনি সফল গ্রামীণ ব্যাংকসহ তাঁর একের পর এক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দিক থেকে।
২৪ নভেম্বর বিকেলে ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্বেচ্ছাসেবকধারার প্রশিক্ষণ কাউন্সিলে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবকধারার আহবায়ক মনির জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আজ জাতিকে এক নয়, দুই নয়, শতভাগে বিভক্ত করেছে ছাত্রদের সরকার খ্যাত ইউনূস সরকার। এই সরকারের মাত্র ৩ মাস থাকার কথা থাকলেও যা লক্ষণ দেখছি মনে হয়, আগামী আরো দু-বছর তারা রাজনৈতিক প্লাটফর্মগুলোকে গাধার মত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। আর সেই ধারাবাহিকতায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, দুর্নীতি বেড়েছে, ছাত্র-যুব-জনতার নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে, ধর্ষণ বেড়েছে, সন্ত্রাস বেড়েছে, ফেইক ধর্মীয় নেতা বেড়েছে, কমেছে মানুষের জীবনের দাম। নির্বাচনের রাজনৈতিক খেলায় আমজনতার দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে, কিন্তু তা নিয়ে মোটেই মাথা ব্যথা নেই ইউনূস সরকারের।
এসময় প্রেসিডিয়াম মেম্বার গাজী মনসুর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ এসময় জামায়াতের নেতাদের পুলিশ-প্রশাসন ডোমেইন করার বক্তব্যকে ঘৃণা ভরে নিন্দা জানিয়ে বলেন, ছাত্র শিবির-জামায়াতের মত যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক গোষ্ঠি ৩০ লক্ষ হত্যাকাণ্ড আর ২ লক্ষ ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে আগামীতে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ এরা বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চায়নি। আজ যদি ৮৬৫ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে প্রায় ২৫ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক প্লাটফর্মের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার অভিযোগে কেন জামায়াত-শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে না!