স্টাফ রিপোর্টারঃ- আন্তর্জাতিক মানবিক সংকট, বিশেষ করে বৈশ্বিক শরণার্থী সমস্যাকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর ও রাজনৈতিক কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় প্রচারমূলক স্টিকার লাগানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আহমদি রিলিজিয়ন অফ পিস এন্ড লাইট এর অনুসারীরা।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে গণভবনের পেছনের এলাকা ৪৭ টয়েনবি সার্কুলার রোড, জয়কালি মন্দির এলাকা (ঢাকা-১২০৭), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়, ডেমরা রাজস্ব সার্কেল এবং জাতীয় জনতা পার্টির কার্যালয় সংলগ্ন সড়কের বিভিন্ন বিদ্যুৎ ও সড়কখুঁটিতে এসব স্টিকার লাগাতে দেখা যায় মোঃ মোস্তফা কাওসার নামের এক যুবককে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, স্টিকারগুলোর বর্ডারে বাংলায় লেখা রয়েছে “সময়ের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট শরণার্থী সংকটের একটি স্থায়ী, অব্যর্থ, স্রষ্টা প্রদত্ত সমাধান। বিশ্বের সকল শরণার্থীদের জন্য উৎসর্গিত একটি দেশ। মানবিক মর্যাদা ও সমতা রক্ষার মহান এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিম্নের পিটিশনটি স্বাক্ষর করুন।” স্টিকারের উপরের অংশে বড় অক্ষরে লেখা- “ঐশী ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব গড়তে শামিল হোন।”এছাড়া স্টিকারটিতে জলছাপ হিসেবে সংযুক্ত রয়েছে আহমদি রিলিজিয়ন অফ পিস এন্ড লাইট-এর মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাশেম আবা আল সাদিক-এর একটি ছবি। স্টিকারের নিচের অংশে ইংরেজিতে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে- “REFUGEE LAND” স্টিকারের নিম্নভাগে দুটি কিউআর কোড যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কিউআর কোডের পাশে লেখা রয়েছে “SIGN THE PETITION”, অপরটির পাশে লেখা “FIND OUT MORE”- যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা এবং অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহমদি রিলিজিয়ন অফ পিস এন্ড লাইট-এর অনুসারী মোঃ মোস্তফা কাওসার বলেন, “মানবজাতির জন্য আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত হুজ্জাহ বা পথপ্রদর্শক আবদুল্লাহ হাশেম আবা আল সাদিক আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশে আমরা বিশ্বব্যাপী আল্লাহর নির্দেশের প্রতি মানুষকে সচেতন করার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ দাওয়াতি র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে এ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়িত না হবে, ততদিন আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।” উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংকটের প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে সামাজিক ও নাগরিক মহলে আলোচনা তৈরি হয়েছে।