নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি জেলেপাড়া এলাকাটি মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে চিহ্নিত একটি মাদক পরিবার। ভয়াল এ পরিবারটি হচ্ছে হাবিবুর রহমান হবি গং। প্রায় দেড় যুগ ধরে এ পরিবারটি বংশ পরমপরায় তাদের ব্যবসার আধিপত্য ধরে রেখেছে। বন্দর থানা পুলিশের তৎপরতার অভাবে এলাকার কতিপয় উচ্ছশৃঙ্খল তরুন ও যুবক হবি গংয়ের নিষিদ্ধ এ ব্যবসা জিইয়ে রেখেছে। এক সময় এই এলাকার মাদকের আখড়া চালাতো মাদক সম্রাট হাবিবুর রহমান হবি ও তার স্ত্রী রোকেয়া দীর্ঘ দিন এলাকায় মাদকের রাম রাজত্ব কায়েম করে আসছিল।
বিগত ২০ বছর আগে মাদক পাচার করতে গিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে পিতা-মাতার ব্যবসা ধারবাহিকভাবে ধরে রেখেছে তাদেরই কুপুত্র রমজান,রিপন,শুক্কুর,বাবু। হবি পুত্রদের এসব ব্যবসার পুরোপুরি শেল্টার দেন ৫ আগষ্টের পলাতক সন্ত্রাসী আজমীর ওসমানের অন্যতম সহযোগী মনির সরদার ওরফে টাউট মনির। মনির সরদার মূলতঃ এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী রাকিব,আবুল,শাওন,আরমান,দয়াল,রাজন ও কাশেমসহ ৩০জনের একটি সংঘবদ্ধ দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।
এই ৩০জন মাদকসেবীর মাধ্যমে ৩ বেলার খাবারসহ প্রতিদিন জনপ্রতি ১হাজার টাকা করে বেতন দেয়া হয়। এদের অবাধ মাদক বানিজ্যের কারণে একরামপুর ইস্পাহানিসহ তার আশপাশের এলাকাগুলো অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়ে উঠেছে। এ কারণে এলাকাগুলো প্রতিনিয়তই চুরি,ছিনতাই ও রাহাজানিসহ নানা প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। ভয়ানক হবি বাহিনীর কবল থেকে মুক্তিসহ যুব সমাজ রক্ষার স্বার্থে বন্দর থানা প্রশাসন, র্যাব ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল।