জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি টিকাদান শুরু হয়েছে দেশে।সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের এইপিভি টিকার প্রথম ধাপের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন হয় । মদনগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সাথে কেরামতিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আলী আজগর নূরানী হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা টিকার কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করেন, প্রথম ধাপের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ মোখলেছুর রহমান চৌধুরী।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েরা এই টিকা কর্মসূচির আওতায় থাকবে। টিকা নিতে হলে প্রথমে টিকা গ্রহণকারীকে ভ্যাক্স ইপিআই অ্যাপে জন্মসনদ দিয়ে নিবনন্ধন করতে হবে।“নিবন্ধন ছাড়া টিকা গ্রহণের সুযোগ থাকছে না। প্রথম ধাপে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।”অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ১৯ নং ওয়ার্ড সচিবঃ-নজিবুল হক ইমন বলেন, প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। পরের ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিপসমে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর এক ডোজের এই এইচপিভি টিকা প্রয়োগ করা হয়। রোববার থেকে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ২০ লাখ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৮ দিন। এ সময় ২০ লাখ টিকা দেওয়া হবে।এবং আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ এবং অগাস্ট মাসে দেশের বাকি পাঁচ বিভাগে দেওয়া হবে এইচপিভি টিকা, সূত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সারাদেশের অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময় এইপিভিভি টিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মদনগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম,কেরামতিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ফুড এন্ড সেনিটেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন ও মোরশেদা বেগম এবং হুমাউন প্রমুখ।